মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

ভবিষ্যতে ঢাকা বস্তি এলাকায় পরিণত হতে পারে

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন

ভবিষ্যতে ঢাকা বস্তি এলাকায় পরিণত হতে পারে

‘গণমাধ্যমে সম্প্রতি পড়েছি যে ঢাকা গেট, যা কিনা ইতিহাসের সাক্ষী তা অনাদরে-অবহেলায় পড়ে আছে। এতে বোঝা গেল যে, সরকার ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন নয়, আবার বর্তমানকেও সংরক্ষণ করতে পারছে না। যার ফলে ঢাকা ভবিষ্যতে বস্তি এলাকায় পরিণত হতে পারে। অথচ পৃথিবীতে কোনো রাজধানী শহর এমন নয়।’ ইতিহাসবিদ এবং বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন। এ ইতিহাসবিদ আরও বলেন, ঢাকা শহর একটি অপরিকল্পিত নগরী। ঢাকার উন্নয়নে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকার বিভিন্ন নীতি গ্রহণ করেছে, যার ফলে ঢাকা শহরে মানুষের বসবাসের উপযুক্ত কোনো পরিবেশ নেই। কতগুলো দৃষ্টান্ত দিলেই তা বোঝা যায়। যেমন- ঢাকার রাজপথে ট্রাফিক সিগন্যাল বসানো হয়েছে বিশাল অঙ্কের জনগণের টাকা খরচ করে। কিন্তু ট্রাফিক সিগন্যাল কাজ করে না। পুলিশ হাত তুলে যান নিয়ন্ত্রণ করে। আর আমার বিবেচনায় ঢাকায় যানজট সৃষ্টির পেছনে এটি সবচেয়ে বড় কারণ। গত ১৫ বছরে ১৫০ কোটি টাকা খরচ করে ট্রাফিক সিগন্যাল বাতিগুলোর আধুনিকায়নের কাজ করা হয়েছে এবং এ কাজে ব্যয়কৃত সব টাকা জলে গেছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে ঢাকায় মেট্রোরেলের কাজ চলছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে সংসদে আলোচনা হয়নি, জনগণের সঙ্গে আলোচনা হয়নি। এমনকি যারা নগর বিশেষজ্ঞ তাদের সঙ্গেও আলোচনা হয়নি। এখানেও বিশাল অঙ্কের টাকা খরচ হচ্ছে কিন্তু জনগণ কিছু জানে না। অথচ সংবিধান অনুযায়ী জনগণই রাষ্ট্রের মালিক। কিন্তু বাস্তবে সরকার রাষ্ট্রের মালিক হয়ে যাচ্ছে।

সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, মেট্রোরেলে ঢাকার যানজট কমবে না। এর কারণ হচ্ছে যারা প্রাইভেট কার ব্যবহার করেন তারা মেট্রোরেলে চড়বে না। আর যারা বাসে চড়ে তাদের কিছু সংখ্যক যাত্রী হয়তো মেট্রোরেলে চড়বে। কিন্তু ঢাকা শহরের যানজট ট্রাফিক পুলিশ ও প্রাইভেট কারের জন্য। এমনটিই যদি হয় তাহলে যানজট কমবে কীভাবে! পঞ্চাশের দশকে ধানমন্ডিতে আবাসিক এলাকার বাসিন্দাদের এক বিঘা করে জমি বিতরণ করা হয়েছে। এখন আর দেওয়া হবে না। প্রশ্ন হচ্ছে তখন কি ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করা হয়নি যে, এ নগরটি কতটা বাড়বে!

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর