মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

অব্যবস্থাপনা থামাতে আইনের কঠোর প্রয়োগ প্রয়োজন

স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন

অব্যবস্থাপনা থামাতে আইনের কঠোর প্রয়োগ প্রয়োজন

‘ঢাকায় অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও অব্যবস্থাপনা থামাতে আইনের কঠোর প্রয়োগ প্রয়োজন। বিশেষ করে সরকার দলীয় লোকদের ওপর যদি আইনের কঠোর প্রয়োগ করা যায় তাহলে সব মানুষই আইন মেনে চলবে। দেশে যে মানুষগুলো আইন মানেন না, তারা যখন দেশের বাইরে যান তখন ঠিকই আইন মেনে চলেন। আমি জাপানে গিয়ে দেখেছি বাঙালিরা পকেটের ভিতরে ময়লা নিয়ে ঘোরেন। আর এ মানুষগুলোই ঢাকায় বিমানবন্দরে নেমে ময়লা ফেলা শুরু করেন। এর কারণ দেশের বাইরে যত্রতত্র ময়লা ফেললে সঙ্গে সঙ্গে শাস্তির আওতায় আসতে হয়। সে মন্ত্রী হোক বা তার ছেলে যাই হোক না কেন।’ নগর বিশ্লেষক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের চোখের সামনে দেখতে পাই যে মন্ত্রী ও এমপিরা ভুলপথে গাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। আইন ভাঙার জন্য তাদের কোনো বিচার হচ্ছে না। তাহলে সাধারণ মানুষ কেন আইন মানবেন? আইন মানানো শুরু করতে হয় নিজের ঘর থেকে। মানুষ যাকে ভালোবাসে তাকে সবচেয়ে বেশি শাসন করে। কিন্তু আমাদের দেশে ঠিক এর উল্টো হয়।

এ নগর বিশ্লেষক বলেন, সিটি করপোরেশন যেহেতু সিগন্যাল লাইট কিনেছে, এজন্য পুলিশ তা মানে না। অথচ ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বই হচ্ছে সিগন্যালে লাল বাতি জ্বললে গাড়ি, তা থামানো। কিন্তু তারা লাল বাতি জ্বললেই গাড়ি যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, মাঝে-মধ্যেই সরকারের মন্ত্রী ও বড় কর্মকর্তারা বলেন, ‘এবার থেকে আর কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না’। এর অর্থ হচ্ছে যে- এর আগে যারা অন্যায় করেছে তাদের সবাইকে ছাড় দিয়ে দিলাম। এ বক্তব্য পরিবর্তন করতে হবে। এর আগে যারা অন্যায় করেছে এবং তাদের যারা ছাড় দিয়েছেন এ মুহূর্তে তাদের সবাইকে জেলখানায় নিয়ে বিচার শুরু করতে হবে। আইন প্রত্যেকের বেলায় প্রযোজ্য হতে হবে। বিশেষ করে যে রাজনৈতিক দল সরকার চালাবে তারা যদি আইন ভাঙে তাহলে তাদের ওপর কঠোরতম আইন প্রয়োগ করতে হবে। আর এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে বাকি লোকদের ওপরে আইন অনেক কম প্রয়োগ করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর