মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

খানাখন্দে ভরা টঙ্গী-আশুলিয়া সড়কে সীমাহীন ভোগান্তি

সাভার প্রতিনিধি

টঙ্গী-আশুলিয়া সড়কে ভোগান্তির শেষ নেই। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা খানাখন্দে ভরা। ফলে শিল্পকারখানার কাঁচামাল পরিবাহী হেভিওয়েট যান, বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কারসহ শত শত পরিবহনের জট লেগে থাকে। মাঝেমধ্যে ইটের অংশবিশেষ ও রাবিশ দিয়ে সড়কটি চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা হয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। গাড়ির চাকার চাপে রাবিশ ও ইট ভেঙে উঠে যায়। যানবাহনের ক্ষতি হয়। ঘটে দুর্ঘটনাও। এ ছাড়া ধুলা-ময়লায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হবে ২০২৬ সালের জুনে। এ ২৪ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে আবদুল্লাহপুর, আশুলিয়ার বাইপাইল ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ডিইপিজেড) সঙ্গে সংযুক্ত করবে। চার লেনের সড়কের পাশাপাশি এক্সপ্রেসওয়েরও কাজ চলবে। সড়কটির দায়িত্বে থাকা প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘এ রাস্তাটি চার লেনের। এখন রাস্তা যেমন আছে এর মধ্যই মোটামুটি ঠিকঠাক করে রাখা হবে কিছুদিন। কারণ আমাদের আবার এক্সপ্রেসওয়ের পিলার করতে হবে রাস্তার মাঝখান দিয়ে। এ পিলারগুলো করার আগে রাস্তার দুই সাইড ঠিক করে নেব যেন গাড়ি চলাচলে সমস্যা না হয়।’ আর রাবিশ দিয়ে সড়ক সংস্কারের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘রাবিশ দিয়ে কাজ করা হচ্ছে টেম্পরারি। এভাবে কি কখনো হয়? এ কাজ তো আন্তর্জাতিক মানের। সাময়িকের জন্য এটা দেওয়া হয়েছে হয়তো। আমরা একদম ফ্রেশ রাস্তা করব।’ টঙ্গী-আশুলিয়া সড়কের জিরাবো, নরসিংহপুর, জামগড়া, ইউনিক এলাকার বিভিন্ন স্থান খানখন্দে ভরা। ড্রেনেজব্যবস্থা কার্যকর না থাকায় শুকনো মৌসুমেও কারখানা ও বাসাবাড়ির ব্যবহৃত পানিতে সড়কটিতে নাজুক দশার সৃষ্টি হয়। পথচারী ও পোশাকশ্রমিকদের পড়তে হয় মহাবিপদে। এ সড়ক দিয়ে নিত্য মোটরসাইকেলযোগে জিরাবো চলাচল করেন একটি তৈরি পোশাক কারখানার কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম রিপন। তিনি বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে এ মহাসড়কে হাঁটুপানি থাকে। এখন শুকনো মৌসুমে একটু ভালো থাকার কথা। কিন্তু এখনো বাজে অবস্থা। সড়কের বিভিন্ন স্থানে ১ থেকে ৩ ফুট পরপর ছোট-বড় গর্ত। এসব গর্ত কোনোরকমে ইটের টুকরো দিয়ে মেরামত করা হলেও মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়া দুরূহ। বড় যানবাহনের চাকার চাপে ইটের টুকরা ভেঙে ধুলাবালির সৃষ্টি হচ্ছে।’

মহাসড়কের পাশের ইউনিক এলাকার কাঁচামাল দোকানদার ফালু মিয়া বলেন, ‘আজ ছয়-সাত বছর দেখছি রাস্তার এ অবস্থা। শুনেছি এ রাস্তা দিয়ে উড়ালসড়ক হবে। এটি ভালো খবর। কিন্তু মানুষের এখন চলাচল করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। প্রায়ই রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, বাস, মালবোঝাই ট্রাক, পিকআপ, লরির চাকা এসব গর্তে আটকে যায়। যানবাহন উল্টে দুর্ঘটনাও ঘটে।’

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর