বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

নীলফামারীতে অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কা, চার নারী নিহত

বগুড়ায় বাস সিএনজি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত

প্রতিনিধি নীলফামারী ও নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

নীলফামারীতে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশা থেকে পড়ে গিয়ে কাটা পড়েছেন চার নারী ইপিজেড শ্রমিক। তারা ঘটনাস্থলেই মারা যান। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জেলা সদরের দারোয়ানী রেলস্টেশনের অদূরে একটি রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া এদিন বগুড়ার শেরপুরে বাস-সিএনজির সংঘর্ষে আরও পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

নীলফামারীতে নিহতদের বাড়ি সোনারায় ইউনিয়নের পাশাপাশি ধনীপাড়া ও কোনারীপাড়া গ্রামে। অটোরিকশাযোগে তারা বাড়ি থেকে ইপিজেডের কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ ঘটনায় আহত অটোরিকশাটির চালক ও অপর তিন নারী শ্রমিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘনকুয়াশার মধ্যে অটোরিকশায় করে সাত নারী শ্রমিক ধনিপাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে উত্তরা ইপিজেডের কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। দারোয়ানী রেলস্টেশনের অদূরে একটি অরক্ষিত রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় খুলনা থেকে চিলাহাটিগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দিলে যাত্রীসহ অটোরিকশাটি কয়েক ফুট দূরে ছিটকে পড়ে। তখন ট্রেনে কাটা পড়েন ইটভাটা শ্রমিক আশরাফ হোসেনের স্ত্রী শেফালী বেগমসহ (৩৫) আটজন। শেফালী ঘটনাস্থলেই মারা যান। এরপর এলাকাবাসীর সহায়তায় দমকল বাহিনীর কর্মীরা আহত ছয় শ্রমিক ও অটোরিকশাচালককে উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে ধনীপাড়া গ্রামের ইজিবাইক চালক মোশারফ হেসেনের স্ত্রী রুমানা বেগম (৩৫), একই ইউনিয়নের কোরানী পাড়া গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক বেলাল হোসেনের স্ত্রী সাহেরা বানু (৩৫) মারা যান। অপরদিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ধনীপাড়া গ্রামের হোটেল শ্রমিক আরমান আলীর স্ত্রী মিনারা বেগম (৩০) মারা যান। ধনীপাড়া গ্রামের আহত অপর ইপিজেড শ্রমিক আলতাফ হোসেনের স্ত্রী মিনা বেগম (৩৫) নজরুল ইসলামের স্ত্রী রওশনারা বেগমকে (২৭) নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে এবং অটোরিকশাচালক অহিদুল ইসলাম (২৪) ও সাহেদ আলীর স্ত্রী ইপিজেড শ্রমিক কুলসুম বেগমকে (৩০) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দারোয়ানী রেলস্টেশন এলাকার কৃষক হাচিনুর রহমান জানান, সকালে ঘন কুয়াশার কারণে ট্রেনের আগমন বুঝতে না পারায় ওই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।

বগুড়ায় বাস-সিএনজি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত : শেরপুরে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত ও ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই সিএনজির যাত্রী ছিলেন। আহতদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর আমবাগান নামক স্থানে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে দুর্ঘটনায় হতাহতদের তাৎক্ষণিক নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। শেরপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা নাদের হোসেন জানান, ঢাকা থেকে বগুড়াগামী হানিফ পরিবহনের দ্রুতগতির একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের মির্জাপুর আমবাগান নামক স্থানে বিপরীতদিক থেকে আসা সিএনজি চালিত অটোরিকশার মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সিএনজির পাঁচজন যাত্রী নিহত হন। সেই সঙ্গে বাস ও সিএনজি আরও ১০ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বানিউল আনাম জানান, দুর্ঘটনার পরপরই ঘাতক বাসের চালক-হেলপার পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে বাস ও অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে।

 

 

সর্বশেষ খবর