শিরোনাম
সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা
বাজার মনিটরিংয়ে ডিসিদের নির্দেশ

সেপ্টেম্বরে শুরু ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঊর্ধ্বমুখী চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে দেশব্যাপী শুরু হচ্ছে খোলা বাজারে চাল বিক্রি (ওএমএস)। একই সঙ্গে ১৫ টাকা কেজি দরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিও শুরু হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান। তিনি বলেন, চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) বাজার মনিটরিংয়ের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। বাজারে চালের দাম আবার বাড়ছে-এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, আমরা ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৫০ লাখ পরিবার বা ৪ কোটি মানুষের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করছি। ১ সেপ্টেম্বর থেকে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি একসঙ্গে চালু হলে চালের দাম স্থিতিশীল অবস্থায় চলে আসবে।

 আমাদের সরকারি মজুদ আছে, আমরা তো মানুষের জন্যই মজুদ করি। যারা এ চাল নিবে তাদের তো বাজার থেকে আর চাল কিনতে হবে না।’

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় বছরের কর্মাভাবকালীন ৫ মাস (মার্চ-এপ্রিল, সেপ্টেম্বর-নভেম্বর) পরিবার প্রতি ১৫ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। অন্যদিকে ওএমএস কর্মসূচির আওতায় যে কেউ ডিলারের কাছ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল কিনতে পারেন। এখন চালের দাম বাড়ার কারণ কি- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এখন দুটি মৌসুমের সন্ধিক্ষণ, বোরো চলে গেছে, আমন আসবে। অনেক জায়গায় খরার কারণে মানুষ আমন লাগানো নিয়ে ভয়-ভীতিতে আছে। এর সঙ্গে পরিবহন ব্যয়ও বেড়েছে। পরিবহন খরচের হারের চেয়ে চালের দামটা বেশি বেড়েছে। সেখানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীও আছে। এটা পরিষ্কার কথা, আমাদের অস্বীকার করার কিছু নেই। তবে সেটাও আমরা মনিটরিং করছি। অবৈধ মজুদের বিষয়ে আমাদের তো নিয়মিত মনিটরিং আছেই। আমরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে মাঠে নামতে বলেছি। পাঁচটি মনিটরিং কমিটি হয়েছে, সেগুলো সক্রিয় হবে। জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যাতে বাজারটা পুরোপুরি মনিটরিং করেন। কোথাও অবৈধভাবে ধান ও চালের মজুদ থাকলে আগে যেভাবে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালানো হয়েছে সেভাবে চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর