রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ট্রেনের নিচে ঝাঁপ মা-মেয়ে গুরুতর আহত

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

পারিবারিক কলহের জেরে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন গৃহবধূ সুমি খাতুন (৩০)। এ সময় তার কোলে ছিল চার বছরের মেয়ে সুরভি। ভাগ্যক্রমে দুজনের জীবন বেঁচে গেলেও ট্রেনে কাটা পড়ে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে সুরভির বাঁ হাত। আর সুমি খাতুন গুরুতর আহত হয়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুযন্ত্রণায় ভুগছেন। গতকাল সকাল ৮টার দিকে কুষ্টিয়া পৌরসভার হরিশংকরপুর ধোপাপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

সুমি খাতুন কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এস্টেট এলাকার সি ব্লকের সাপ্পীরুল ইসলাম সাপ্পীর স্ত্রী। প্রায় এক যুগ আগে এ দম্পতির বিয়ে হয়। তাদের আট বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। আহতের স্বজনরা জানান, স্বামীর সঙ্গে সুমির প্রায়ই ঝগড়া হতো। গতকাল সকালে কলহের জেরে সুমি সুরভিকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। পরে এ দুর্ঘটনা ঘটান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি মালবাহী ট্রেন ফরিদপুর থেকে দর্শনার উদ্দেশে যাচ্ছিল। এ সময় হঠাৎ একটি শিশু কন্যা কোলে নিয়ে এক নারী ওই ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন। তবে ভাগ্যক্রমে ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে এক পাশে পড়ে যান। এতে শিশুটির এক হাত ট্রেনের চাকার নিচে পড়ে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ছাড়া মা ও মেয়ের শরীরের বিভিন্ন জায়গা গুরুতর জখম হয়। স্থানীয়রা তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আশরাফুল আলম জানান, তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

পোড়াদহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনজের আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সর্বশেষ খবর