শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা
যুব সমাবেশে মির্জা ফখরুল

রিজার্ভের টাকা কেউ চিবিয়ে খায়নি গিলে খেয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

রিজার্ভের টাকা কেউ চিবিয়ে খায়নি গিলে খেয়েছে

রাজধানীর নয়াপল্টনে গতকাল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যুব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অনেকেই জানতে চায়, রিজার্ভের টাকা গেল কোথায়। তাদের বলতে চাই, এটা কেউ চিবিয়ে খায়নি। গিলে খেয়েছে।

গতকাল বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক বিশাল ‘যুব সমাবেশে’ তিনি এসব কথা বলেন।

‘রিজার্ভের টাকা পায়রা বন্দরে খরচ করা হয়েছে’ দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, রিজার্ভের টাকা পায়রা বন্দরে খরচ করার জন্য নয়। রিজার্ভের টাকা হচ্ছে বিদেশ থেকে যে আমদানি করবেন তা ডলার দিয়ে পরিশোধ করবেন। দেশে যখন ক্রাইসিস  (সংকট) দেখা দেবে তখন খরচ করবেন। যুব সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে গতকাল বড় ধরনের শোডাউন করেছে যুবদল। সমাবেশের বিস্তৃতি নয়াপল্টন ছাড়িয়ে ফকিরাপুল, কাকরাইল, পল্টন, বিজয়নগর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। সমাবেশে ঢাকার আশপাশের জেলা থেকেও নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা তিনটা সমাবেশ করে ক্ষমতায় চলে গেছি বলে মনে করছি না। আমরা মনে করছি, তিনটা সমাবেশ করায় আপনাদের ভিতরে কম্পন শুরু হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগে কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও খুলনায় তারা পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে। সেই ধর্মঘট দিয়ে কি গণতন্ত্রকামী মানুষকে আটকে রাখতে পেরেছে? পারেনি। জনগণ তাদের দাবি জানাতে পায়ে হেঁটে বিভিন্নভাবে সমাবেশে এসে উপস্থিত হয়েছেন। মুন্সীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জে যুবদল নেতা নিহতের ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অবৈধ সরকার গুলি করে আন্দোলন দমন করতে চায়। তারা অত্যাচার করে, নির্যাতন করে বিরোধী দলকে দমন করতে চায়। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, দেশে নির্বাচন নেই, নির্বাচন ব্যবস্থাকে আওয়ামী লীগ ধ্বংস করে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন করেছে যাদের, ডিসি-এসপি তাদের রায়/কথাবার্তা মানেন না এবং তারা নির্বাচন করতে পারেন না। তিনি বলেন, আমরা খুব পরিষ্কারভাবে বলেছি, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা না দিলে এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন গণতন্ত্রের জন্য। এখনো তিনি অসুস্থ শরীর নিয়ে গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন। তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে, মিথ্যা সাজা দিয়ে দেশের বাইরে রাখা হয়েছে। ৩৫ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে, হত্যা করা হয়েছে। ‘খেলা হবে’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, খেলা তখনই হয়, যখন ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ থাকে। খেলা তখন হবে, যখন পদত্যাগ করবে সরকার থেকে এবং মধ্যবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন দায়িত্ব নেবে। তখন সেই ‘নির্বাচনী খেলা’ হবে। এ ছাড়া কোনো খেলা খেলতে দেওয়া হবে না।

যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে এবং মোনায়েম মুন্নার পরিচালনায় সমাবেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমানউল্লাহ আমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম আজাদ, মীর আলী নেওয়াজ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর