শিরোনাম
শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গা নয়, দেশি দুর্বৃত্তরা অপহরণ করেছিল : পুলিশ

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফ জাহাজপুরা পাহাড়ি এলাকায় শিক্ষার্থীসহ আটজন অপহরণের ঘটনায় কোনো রোহিঙ্গা জড়িত ছিল না বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম।

গতকাল বিকালে ফিরে আসা অপহৃতদের নিয়ে সাংবাদিকদের বিফ্রিংকালে এসব কথা বলেন পুলিশ সুপার।

অপহরণের তিন দিন পর আহত অবস্থায় বাড়ি ফিরেছেন ওই আটজন। তিন দিন ধরে প্রশাসনের লোকজন ও স্থানীয়সহ ৪ শতাধিক মানুষ পাহাড়ি অঞ্চলে অপহৃতদের উদ্ধার অভিযানে নেমেছিলেন।

তবে ভুক্তভোগীদের দাবি, তারা ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে বাড়ি ফিরেছে।

বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মুক্তিপণ নিয়ে ফেরার শর্তে প্রথমে ছয়জনকে বাড়িতে পাঠায় অপহরণকারীরা। প্রথমে ছয়জন এসে ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে পাহাড়ে গেলে বাকি দুজনকেও ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে রাত ৩টার দিকে পুলিশের একটি টিম এসে সবাইকে থানায় নিয়ে যায়। এর আগে রবিবার বিকালে বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা পাহাড়ের খালে মাছ শিকার করতে গেলে সেখান থেকে তারা অপহৃত হন।

 এরা হলেন- বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকার রশিদ আহমদের ছেলে মোহাম্মদ উল্লাহ, ছৈয়দ আমিরের ছেলে মোস্তফা কামাল, তার ভাই করিম উল্লাহ, মমতাজ মিয়ার ছেলে মো. রিদুয়ান, রুস্তম আলীর ছেলে সলিম উল্লাহ, কাদের হোসেনের ছেলে নুরুল হক, রশিদ আহমদের ছেলে নুরুল আবছার ও নুরুল হকের ছেলে নুর মোহাম্মদ। পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘অপহৃতদের উদ্ধারের জন্য পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে গেছে। আমরা পাহাড়ে ড্রোন উড়িয়ে দুর্বৃত্তদের অবস্থান নির্ণয়ের চেষ্টা করেছি। দিনরাত উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছি। অবশেষে অপহরণকারীরা ভুক্তভোগীদের ছেড়ে দেয়। তিনি বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারের একজন অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। বাদী আমাদের জানিয়েছেন কোনো মুক্তিপণ ছাড়া বুধবার রাতে অপহৃতদের ছেড়ে দেয়। ভুক্তভোগীরা আমাদের জানিয়েছেন অপহরণকারীরা রোহিঙ্গা নয় বরং দেশীয় সন্ত্রাসী। এ ঘটনায় আমরা এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারিনি।

সর্বশেষ খবর