মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

সৈয়দ নজরুল ও আশরাফের ম্যুরাল বিকৃতি দুর্বৃত্তদের

প্রতিবাদে মানববন্ধন, ক্ষোভ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

সৈয়দ নজরুল ও আশরাফের ম্যুরাল বিকৃতি দুর্বৃত্তদের

কিশোরগঞ্জ শহরে স্থাপিত মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং তাঁর বড় ছেলে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রী প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ম্যুরালে কালি মেখে বিকৃত করেছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার রাতের কোনো এক সময় শহরের কালীবাড়ি সড়ক এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শহরজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষ প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীর আগের দিন এ ঘটনা ঘটল। খবর পেয়ে গতকাল সকালে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল-আমিন হোসাইন, পৌরসভার মেয়র পারভেজ মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে কালি মুছে ম্যুরাল সংস্কার করা হয়। তবে ইতোমধ্যে ম্যুরাল বিকৃতি করা ছবি দুটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এর আগে ২০২১ সালের ৩০ জুলাই সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ম্যুরাল ভাঙচুরের চেষ্টা করা হয়। ম্যুরাল বিকৃত করার ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল বিকালে সর্বস্তরের নাগরিকদের ব্যানারে কিশোরগঞ্জ শহরের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্বরে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওলাদ হোসেন, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মীর আমিনুল ইসলাম সোহেল, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিলকিস বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তারা অবিলম্বে দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান। পৌর মেয়র মো. পারভেজ মিয়া জানান, ঘটনাস্থলে সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল। তবে এগুলো সক্রিয় নয়। প্রায় দেড় বছর আগে চত্বরটিতে সিসিটিভি বসানোর পর আর চেক করা হয়নি। ম্যুরাল বিকৃতির বিষয়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সমন্বয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিশোরগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল আমিন হোসাইন জানান, আমরা তদন্ত করছি। অপরাধী যেই হোক, আইনের আওতায় আনা হবে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, কে বা কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি। তাদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশকে বলা হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরা পরীক্ষার পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হবে বলে জানান তিনি। কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের উদ্যোগে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের ম্যুরালটি নির্মাণ করা হয়। ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট উদ্বোধন করেন তারই কন্যা কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি। আর কিশোরগঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ম্যুরাল নির্মাণ করা হয়। একই বছরের ৩০ নভেম্বর পৌরসভার মেয়র মো. পারভেজ মিয়া ম্যুরালটি উদ্বোধন করেন।

 

সর্বশেষ খবর