রাজধানীতে আজ থেকে আরও ১৫টি পরিবহনের ৭১১ বাসে ই-টিকিটিং ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। এ নিয়ে ৪৫ কোম্পানির ২ হাজার ৩৫৪টি বাস ই-টিকিটিংয়ের আওতায় এসেছে।
গতকাল রাজধানীর ইস্কাটনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আজমল উদ্দিন আহমেদ (সবুর), সিনিয়র সহসভাপতি সফিকুল আলম খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক, অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম, হাবিবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির তপন, প্রচার সম্পাদক মহারাজ হোসেন ও বিভিন্ন বাস কোম্পানির প্রতিনিধিবৃন্দ। খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, মোহাম্মদপুর, আজিমপুর ও গাবতলী অঞ্চলের ১৫টি কোম্পানির ৭১১টি বাস ই-টিকিটিংয়ের আওতায় চালু হচ্ছে। ঢাকা শহর ও শহরতলি রুটের বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়ম দূর করার জন্য আমরা পরীক্ষামূলকভাবে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর মিরপুরভিত্তিক ঢাকার ৮টি পরিবহন কোম্পানি চালু করেছি। গত ১৩ নভেম্বর ২২টি পরিবহন কোম্পানিসহ মোট ৩০টি পরিবহন কোম্পানির মোট ১ হাজার ৬৪৩টি গাড়িতে ই-টিকিটিং পদ্ধতি চালু করেছি।তিনি বলেন, ইতিপূর্বে ৩০টি কোম্পানির ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ গাড়িতে ই-টিকিটিং পদ্ধতি কার্যকর করা হয়েছে। আর বাকি গাড়িগুলোতে তা কার্যকর করার লক্ষ্যে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির ৪টি ভিজিল্যান্স টিম প্রতিদিন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ ছাড়া সমিতির নিয়োগ দেওয়া ৯ জন স্পেশাল চেকার প্রতিদিন রোডে মনিটরিং করছেন। যেসব গাড়ি এখনো নিয়মের মধ্যে আসেনি তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যাত্রীদের অভিযোগ ই-টিকিটিংয়ে দূরত্ব অনুযায়ী নির্দিষ্ট কিলোমিটারের উল্লেখ নেই। কিলোমিটার উল্লেখ করে ভাড়ার চার্ট তৈরি করার জন্য আমরা ইতোমধ্যে বিআরটিএকে অনুরোধ জানিয়েছি। ভাড়ার চার্ট তৈরি করা হলে ডিভাইসে কিলোমিটার উল্লেখ করে দেওয়া হবে। ই-টিকিটিং চালু হওয়া ১৫টি পরিবহন কোম্পানি হচ্ছে- মেসার্স ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ, স্বাধীন লাইন পরিবহন, দেওয়ান এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, মালঞ্চ পরিবহন লিমিটেড, তরঙ্গ প্লাস ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড, আলিফ এন্টারপ্রাইজ (১), আলিফ এন্টারপ্রাইজ (২), অভিনন্দন ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড, বিকাশ পরিবহন লিমিটেড, গাবতলী এক্সপ্রেস লিমিটেড, মেঘলা ট্রান্সপোর্ট কোং লিমিটেড, ভিআইপি অটো মোবাইলস লিমিটেড, রমজান আলী এন্টারপ্রাইজ, মিডলাইন পরিবহন লিমিটেড এবং স্বপ্ন পরিবহন লিমিটেড।
