সোমবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

সরকারকে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির ক্ষমতা দিয়ে সংসদে বিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারকে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও তেলের মূল্য বৃদ্ধির ক্ষমতা দিয়ে জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২৩’ শীর্ষক বিল উত্থাপিত হয়েছে। বর্তমান প্রক্রিয়ায় ট্যারিফ  কমিশনের মাধ্যমে গণশুনানি করে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ট্যারিফ সমন্বয় এবং প্রচলিত আইনে বর্ণিত প্রক্রিয়ায় মূল্য নির্ধারণে ন্যূনতম তিন মাস সময় লাগে। তাই দ্রুততম সময়ে ট্যারিফ সমন্বয়ের লক্ষ্যে সরকারের ক্ষমতা সংক্ষণের জন্য আইনটি সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ২১তম অধিবেশনে গতকালের বৈঠকে বিলটি উত্থাপন করেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। পরে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দিতে বিলটি সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলটি উত্থাপনের আগে আপত্তি জানান জাতীয় পার্টির এমপি ফখরুল ইমাম। তিনি বলেন, এই বিলটি আনা হলে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানির দাম আরও বাড়বে। তার প্রতিক্রিয়ায় বাড়বে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। এতে বাড়বে জনদুর্ভোগ। জবাবে ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে দীর্ঘসূত্রতার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মূল্য সমন্বয়ের যে প্রস্তাব দিয়েছিলাম, তা বাস্তবায়ন হয়েছে ২০২২ সালের অক্টোবরে। এর মধ্যে বিশ্ববাজারে আরও মূল্য বৃদ্ধি ঘটলেও তা সমন্বয় করতে রাজি হয়নি কমিশন। এতে ভর্তুকি বেড়েছে। এভাবে ভর্তুকি দিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। পার্শ¦বর্তী কোনো দেশ গ্যাস-বিদ্যুতে ভর্তুকি দেয় না। তাই অর্থনীতির গতিকে চলমান রাখতে ও ভর্তুকি কমাতে দ্রুততম সময়ে ট্যারিফ সমন্বয়ের জন্য বিলটি আনা হয়েছে।

 এরপর বিলটি উত্থাপনে জাতীয় পার্টির এমপি ফখরুল ইমামের আপত্তি কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে প্রণীত বাংলাদেশ এনার্জি  রেগুলেটরি কমিশন আইনটি এরই মধ্যে তিনবার সংশোধন হয়েছে।

সর্বশেষ খবর