নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে কর্মচারীর হাত পা বাঁধা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় নতুন সেবা হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর হাসপাতালের মালিক ও কর্মচারীরা পালিয়ে গেছেন। খবর পেয়ে নিহতের স্বজনরা হাসপাতাল ভাঙচুর ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের কান্দারগাঁ গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে জহিরুল দীর্ঘদিন যাবত সোনারগাঁ নতুন সেবা হাসপাতালে ফার্মেসিতে কর্মরত রয়েছেন। প্রতিদিনের মতো রাতে ডিউটি করে হাসপাতালের কক্ষে শুয়ে পড়েন। পরে হাসপাতাল থেকে স্বজনদের জানানো হয়, জহিরুল ইসলাম মারা গেছেন। এদিকে স্বজনরা হাসপাতালে এসে জহিরুলের লাশ শোবার ঘরে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় তার হাতে পায়ে ইনজেকশন পুষ করার দাগ দেখতে পান। এর কিছুক্ষণ পরই হাসপাতালের মালিক ও কর্মচারীরা পালিয়ে যায়। জহিরুলের বাবা বলেন, ‘এসে দেখি হাসপাতালের একটি মেজেতে হাত-পা বাঁধা ও রক্তাক্ত অবস্থায় জহিরুলের লাশ পড়ে আছে।’ সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) আহসানউল্লাহ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে জহিরুলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে বলা যাবে।
