শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

পুরান ঢাকার ইফতার

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

পুরান ঢাকার ইফতার

পুরান ঢাকার সবচেয়ে ব্যস্ততম জায়গা সদরঘাট। এ সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘিরে গড়ে উঠেছে এখানকার ব্যবসায়ী জনপদ। এ জনপদের ইফতার বাজারকে কেন্দ্র করে বাহারি পদের ইফতারের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। এখানকার হরেকরকমের ইফতার বাজারে বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবারের আইটেমগুলো।

গতকাল রাজধানীর সদরঘাট এলাকায় বাংলাবাজার, শ্যামবাজার, ইসলামপুর, পাটুয়াটুলী, বাদামতলী, আহসান মঞ্জিলের আশপাশে ঘুরে ছোট-বড় অসংখ্য ইফতারের দোকান দেখা যায়। দোকানগুলোতে বিক্রেতারা ছোলা, আলুর চপ, বেগুনি, পিঁয়াজু, জিলাপি, বুন্দিয়া, ঘুগনি, খেজুর, পাকোড়া, মুড়ি, চিড়া-মুড়ি, দই-চিড়া, নুডলস, চিকেন ফ্রাই, চিকেন ঝালফ্রাই, চিকেন তন্দুরি, চিকেন টিক্কা, চিকেন কাবাব, চিকেন বল, চিকেন পরোটা, চিকেন গ্রিল, শাহী হালিম, বিরিয়ানি, মাঠাই, মৌসুমি ফলসহ বিভিন্ন ইফতারের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। বিক্রেতারা জানান, গত দুই বছরের তুলনায় এবারে বেচাকেনা বেশ ভালো। কিন্তু বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারা মাঝে মধ্যে মনোক্ষুণ্ণ হয়ে চলে যায়। যদিও এখানকার স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ইফতারসামগ্রী নিয়ে অনেক রুচিশীল। পুরনো ঐতিহ্য ধরে রাখতে একেকজন নানা পদের ইফতারি ক্রয় করেন। স্থানীয় ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন বলেন, শরিফ মার্কেটে আমরা পাঞ্জাবির ব্যবসা করি প্রায় ১০ বছরের বেশি সময় ধরে। এখানে ইফতারে বেশ জনপ্রিয় খাবারগুলো হচ্ছে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ইফতারের আইটেমগুলো। তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে ঘুগনি মাখিয়ে বিরিয়ানির সঙ্গে মিশিয়ে ইফতার করার পুরনো রীতি। এ ছাড়াও অনেকে ভাজাপোড়া খেতে বেশ পছন্দ করে বলে জানান শাহাবুদ্দিন। এদিকে ছোট-বড় অসংখ্য দোকানপাটের ভিড়ে প্রতিদিন এ রুটে যাতায়াত করে হাজারো মানুষ সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। এ রুটে যাতায়াত করা যাত্রীরা ঠিক ইফতারের আগমুহূর্তে কেনাকাটা নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। ইফতার বাজারকে কেন্দ্র করে হোটেল-রেস্টুরেন্টের পাশাপাশি এখানে পথেঘাটে বিভিন্ন স্থানে মৌসুমি ইফতার ব্যবসায়ীদের আধিক্য বেশ চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে শ্যামবাজার, ইসলামপুরে এ ধরনের অসংখ্য দোকান দেখা যায়। শ্যামবাজারের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা রমজানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বাইরের খাবারের হোটেল থেকে ইফতার সংগ্রহ করি। এখানে প্রতিটি ব্যবসায়ীরা শাহী হালিম এবং বিরিয়ানি খেতে পছন্দ করেন ইফতারে। সেই সঙ্গে মিষ্টিজাতীয় খাবারগুলো এখানে অনেক বেশি কেনাবেচা হয়। তবে, কোথাও কোথাও ইফতারের দোকানগুলোর খাবারে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি চোখে পড়েছে বেশ ভালোভাবে। এ ছাড়াও বেশির ভাগ দোকানদার ইফতার বেচাকেনায় এত ব্যস্ত যে, খাবার ঢাকতে ভুলে গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর