শিরোনাম
বুধবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

সীমানা নিয়ে আবেদন ৩৮ আসনে

নিজস্ব প্রতিবেদক

সীমানা নিয়ে আবেদন ৩৮ আসনে

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তাবিত সংসদীয় আসনের খসড়ার পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন সাবেক, বর্তমান এমপি ও জনপ্রতিনিধিরা। এ ছাড়া সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিলেও বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সংসদীয় আসনের সীমানা নিয়ে দাবি-আপত্তি জানিয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, ৩৮ সংসদীয় আসনের সীমানা নিয়ে ১৮৬টি আবেদন পড়েছে। ইসির প্রকাশিত খসড়ার পক্ষে ৬০ আবেদন এবং বিপক্ষে পড়েছে ১২৬ আবেদন। চার ধাপে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। দাবি-আপত্তি নিয়ে শুনানি শুরু হবে ৩ মে থেকে, চলবে ১৪ মে পর্যন্ত।

সূত্র জানিয়েছে, আবেদনকারীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানসহ ১৪ জন বর্তমান এমপি রয়েছেন। সাবেক এমপি রয়েছেন চারজন। এ ছাড়া বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী ঐক্য জোটের নেতারাও আবেদন করেছেন আসন নিয়ে। তবে শতাধিক দাবি-আপত্তির মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কিশোরগঞ্জে আসন বৃদ্ধির দাবিও রয়েছে। এদিকে গতকাল নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, শুনানির দিনক্ষণ নির্ধারণে সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও অন্য চার নির্বাচন কমিশনার অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বসেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি ৩০০ সংসদীয় আসনের খসড়া প্রকাশ করে। ১৯ মার্চের নির্ধারিত সময়ে ৩৮ সংসদীয় আসন থেকে ১৮৬টি আবেদন পাওয়া যায়। এর মধ্যে সীমানা বহালের পক্ষে ৬০টি ও আপত্তি আবেদন পড়ে ১২৬টি। বৈঠক শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, ‘কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছে- কুমিল্লা অঞ্চলের মোট আবেদনগুলোর শুনানি হবে ৩ মে; রাজশাহী অঞ্চলসহ সিরাজগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও পাবনার আবেদনের শুনানি ৭ মে; ঢাকা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলসহ ফরিদপুর ও ঢাকা অঞ্চলের আবেদনের শুনানি ১১ মে এবং বরিশাল, খুলনা এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের আবেদনের শুনানি হবে ১৪ মে।’

তিনি জানান, নির্বাচন ভবনের বেজমেন্টের সভাকক্ষে সিইসি ও অন্য নির্বাচন কমিশনাররা শুনবেন আপত্তি আবেদনগুলো। শুনানিতে যুক্তি উপস্থাপনের সুযোগ পাবেন সংশ্লিষ্টরা। এরপর কমিশন আবার প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে পাঁচ বছর আগের সীমানা বহাল রেখেই এবার খসড়া সীমানা প্রকাশ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। রংপুর ও সিলেট অঞ্চলে দাবি-আপত্তি আবেদন করেনি কেউ। সীমানার পক্ষে-বিপক্ষে আবেদনের মধ্যে কুমিল্লা অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৮৪টি, রাজশাহীতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৩টি আবেদন রয়েছে। এ ছাড়া বরিশালে ২৯টি, ঢাকায় ১৮টি, খুলনা ও ফরিদপুর অঞ্চলে ৫টি করে এবং ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে একটি করে আবেদন রয়েছে। দাবি-আপত্তির আবেদন নিয়ে শুনানি শেষে এ বছরের মাঝামাঝি এসব আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ করার কথা রয়েছে।

সর্বশেষ খবর