ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সংঘর্ষে ফয়সাল (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তবে পরিবারের দাবি পুলিশের গুলিতে ওই যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে উপজেলার কালিকচ্ছ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় পুলিশ, সাংবাদিকসহ আরও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। নিহত ফয়সাল কুট্টাপাড়ার মো. রাকিব মিয়ার ছেলে। পুলিশ বলছে, সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণ হলে স্প্রিন্টারের আঘাতে ওই যুবক নিহত হয়েছেন। জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকালে মোটরসাইকেল-রিকশা ধাক্কা লাগা নিয়ে কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধরন্তী গ্রামের ইকবাল চৌকিদারের ছেলে আকাশের সঙ্গে একই ইউনিয়নের সূর্যকান্দি গ্রামের সুমনের বাগবিতন্ডা হয়। এরই জের ধরে আকাশের লোকজন শুক্রবার দুপুরে সুমনের ওপর হামলা চালায়। এ নিয়ে সন্ধ্যায় কালিকচ্ছ বাজারে ইকবাল চৌকিদারের গোষ্ঠী ও সূর্যকান্দি গ্রামের দুলালের গোষ্ঠীর লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় বাজারের কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে সরাইল থানা পুলিশ গিয়ে রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ফয়সালের মা হালিমা খাতুন দাবি করেন, তার ছেলে পুলিশের ছোড়া গুলিতে নিহত হয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবি, ফয়সাল পড়াশোনার ফাঁকে তার মামা ওসমান হারুনীর রড, সিমেন্টের দোকানে কাজ করত। নিহতের মামা ওসমান বলেন, ‘বাড়ি কুট্টাপাড়ায় হলেও ফয়সাল আমার দোকানে থাকত। ঘটনার সময় আমরা দোকানে তালা লাগাচ্ছিলাম। এ সময় পুলিশ এসে ফয়সালের ওপর গুলি করে। তাকে কেন গুলি করা হলো? আমরা তো ঝগড়ার সঙ্গে জড়িত না?’ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন রেজা বলেন, ধারণা করা হচ্ছে সংঘর্ষের সময় ককটেলের স্প্রিন্টারের আঘাতে ফয়সালের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ৪-৫ জনকে আটক ও ১০টি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর তার মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
