খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। গতকাল খুলনায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা। এর আগে ১ মে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মাওলানা আবদুল আউয়ালের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান পরিচালক শেখ মো. নাসির উদ্দিন। জানা যায়, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে এখন পর্যন্ত মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন চারজন। আওয়ামী লীগ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত দুই প্রার্থীর বাইরে জাতীয় পার্টির সাবেক দুই নেতা আবদুল গফ্ফার বিশ্বাস ও এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুশফিক সমর্থকদের নিয়ে নগরজুড়ে খোলা জিপে চড়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। বিভিন্ন স্থানে মতবিনিময় সভায় তিনি নির্বাচিত হলে খুলনাকে পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। তিনি বলেন, সমন্বয়হীন ও অপরিকল্পিত উন্নয়ন কাজে রাস্তা-ঘাটে চলাচলে বিপর্যস্ত অবস্থা তৈরি হয়েছে। হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের পরও জলাবদ্ধতার ভোগান্তি রয়েই গেছে। উপরন্তু, দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন কাজে নগরবাসীর ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে যোগ্য নগর পিতা নির্বাচিত করার অপেক্ষায় রয়েছেন নগরবাসী। অন্যদিকে তফসিল ঘোষণার পর থেকেই মাঠে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। একই সঙ্গে তার পক্ষে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠন প্রচারণায় রয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় জেলা সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সিটি নির্বাচন ও সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়ের কোনো বিকল্প নেই। সবার সমষ্টিগত চেষ্টায় আগামী ১২ জুনের অনুষ্ঠিতব্য সিটি নির্বাচন ও আসন্ন সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তিনি কেসিসি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেকের পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করার আহ্বান জানান।
অন্যদিকে নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সংশয় থাকলেও ভোটের মাঠে সরব ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা আবদুল আউয়াল। তিনি বলেন, জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে- এই কথাটা মানুষকে বোঝানোর জন্য সবচেয়ে উত্তম মাধ্যম হলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা। আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি এবং ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করছি।