ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতু পার হয়ে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত পর্যন্ত স্পিড টেস্ট করার জন্য একটি ট্রেন চারবার আপডাউন করেছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টায় ভাঙ্গা থেকে মাওয়ার উদ্দেশে ট্রেনটির যাত্রা হয়। প্রথম পর্যায়ে ৬০ কিলোমিটার থেকে চূড়ান্ত পর্বে ১২০ কিমি গতিতে ট্রেনটি চালিয়ে রেললাইন পরীক্ষা করা হয়। উল্লেখ্য, ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার কমলাপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। আগামী ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করবেন। এর কিছুদিন পর বাণিজ্যিকভাবে এ পথে রেল চলবে। এর ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ও শনিবার দুদিন ৪বার করে ৮বার ট্রেনটি ট্রায়েল রান করবে। পরীক্ষামূলক ট্রেন যাত্রায় সবকিছু পর্যবেক্ষণ করবেন সেনাবাহিনী ও রেল প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে পদ্মা রেল প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী মো. শাদমান শাহরিয়া জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় পরীক্ষমূলক ট্রেনটি ৬০ কিলোমিটার গতিতে ভাঙ্গা থেকে মাওয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। সেই ট্রেনটি সকাল সাড়ে ৯টার সময় মাওয়া থেকে ভাঙ্গার উদ্দেশে ৮০ কিলোমিটার বেগে চালানো হয়। এরপর সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ভাঙ্গা থেকে মাওয়ার উদ্দেশে ১০০ কিলোমিটার বেগে ছেড়ে যায় ওই ট্রেনটি। আবার মাওয়া থেকে বেলা সাড়ে ১১টার সময় ভাঙ্গার উদ্দেশে ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেনটি ট্র্যায়েল রান করানো হয়। তিনি আরও বলেন, প্রথমে ৬০, তারপর ৮০, তারপর ১০০ ও সর্বশেষ ১২০ কিলোমিটার গতিতে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রায়েল রান করানো হয়েছে। পরপর দুদিন এভাবে চালানো হবে। সেনাবাহিনী ও রেল প্রকল্পের সব প্রকৌশলী ট্রেন চলাচল পর্যবেক্ষণ করেছেন।