বেইজিং প্রজাতির সাদা হাঁসের খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মিনারকুট গ্রামের যুবক মো. সজীব খাঁ। এক বছর আগে তিনি হাঁসের খামার গড়ে তোলেন। হাঁস পালন করে শুরুতেই তার মাসিক আয় ৪৫ হাজার টাকার মতো।
জানা গেছে, মিনারকুট গ্রামের মো. আনিস খাঁর ছেলে সজীব খাঁ জীবনজীবিকার তাগিদে তিন বছর আগে গাজীপুর যান। সেখানে মুদি দোকান খোলেন। তবে সুবিধা করতে পারেননি। লোকসান গুনে বছর দেড়েক আগে বাড়ি ফিরে প্রথমে মুরগি ও পরে হাঁসের খামার গড়েন। খামারি সজীব খাঁ বলেন, ‘গাজীপুরে মুদি দোকান করার সময় এক বন্ধুর বাড়িতে মুরগির খামার দেখতে যেতাম। দোকানে লোকসান হওয়ায় দোকান গুছিয়ে বাড়ি ফিরে এসে সে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে মুরগির খামার গড়ে তুলি। খামারের পরিচর্যা সম্পর্কে জানতে ইউটিউবে গিয়ে একদিন চোখে পড়ে চীনের বেইজিং প্রজাতির সাদা হাঁস পালনের ভিডিও। তা দেখে আগ্রহী হই। একদিন কিনে আনি এক দিন বয়সি ৩০০ হাঁসের বাচ্চা। শুরু করি লাললপালন।’ দুই মাসের মধ্যেই তিনি লাভের মুখ দেখেন। হাঁস পালন করে শুরুতেই তাঁর মাসিক আয় ৪৫ হাজার টাকার মতো। খামারের পরিধি বাড়লে এ আয় আরও বেড়ে যাবে। তিনি জানান, ডিম থেকে বাচ্চা ফোটার মাত্র ৪৫ দিনের মধ্যেই ৩ কেজি ওজন হয়ে যায়, যা বিক্রয়োপযোগী। সাদা পালক, কমলা পা, দেহ হলুদ-লালের মিশ্রণ হওয়ায় দেখতেও সুন্দর। দেশি হাঁসের তুলনায় এর ডানা ছোট। মাংস খেতেও তুলনামূলক সুস্বাদু। তিনি বলেন, ‘খামার থেকে তৃতীয়বারের মতো হাঁস বিক্রি শুরু করেছি। হাঁসের পাশাপাশি মুরগির খামারও চালু থাকবে।’ তিনি জানান, একেকটি হাঁসের বাচ্চা ১২৫ টাকা করে কিনে আনতে হয়। ৪৫ দিনে ৩ কেজি ওজন হয় হাঁসের। প্রতি কেজি লাইভ ওয়েটে ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। পানি ওঠা জমি থেকে ঝিনুক, শামুক, ধান খাইয়ে পালতে পারলে খরচ কিছুটা কমে আসে। এ-জাতীয় হাঁস পালনে রোগের বিষয়ে খুব সতর্ক থাকতে হয়। মুরগির পাশাপাশি হাঁসের খামার গড়ে তুলে তিনি এখন স্বাবলম্বী।