গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রায় মাহমুদ জিন্স কারখানার মালিকের ছেলের ওপর শ্রমিকদের হামলার ঘটনায় পোশাকশিল্পে নতুন করে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টির হয়েছে। আলোচনা চলা অবস্থায় হামলার ঘটনায় গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বিজিএমইএ থেকে গতকাল সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আরও নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট অ্যাকসেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ) সভাপতি মো. শাহরিয়ার। বিজিএমইএ মনে করে, এ ধরনের ঔদ্ধত্য সমগ্র শিল্পের ওপর আঘাত। যে শিল্প দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি, যে শিল্প প্রত্যক্ষভাবে ৪০ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে, পরোক্ষভাবে দেশের ৫ কোটি মানুষের জীবনজীবিকার সুরাহা করেছে তার ওপর এ আঘাত মোটেও কাম্য নয়। এ ঘটনা বহির্বিশ্বে এ দেশের শিল্প সম্পর্কে ভুল বার্তা দেবে।
বিজিএমইএ দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সব বাহিনীকে পোশাকশিল্পে সুষ্ঠু আইনশৃঙ্খলা বজার রাখার জন্য সক্রিয় থেকে সহযোগিতা প্রদানের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে। প্রতিটি পোশাক কারখানার নিরাপত্তা দিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। যারা উসকানি দিয়ে শিল্পকে অস্থিতিশীল করার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে, শিল্প ও অর্থনীতি নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে বিজিএমইএ তাদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছে। বিজিএমইএ জানায়, মাহমুদ জিন্স লিমিটেড একটি কমপ্লায়েন্ট কারখানা। ২০২২ সালে কারখানাটিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ক্রেতা কোলস একটি এক বছর মেয়াদি ক্রয়াদেশের বুকিং দিলে তার ভিত্তিতে কারখানাটি ১২০ কোটি টাকার ইয়ার্ন কেনে। এরই মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ক্রেতা কোলস ক্রয়াদেশ ৫২ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে। কভিড সমস্যা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই প্রতিষ্ঠানটি এ আঘাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে, তা ছাড়া কারখানাটি আগে থেকেই গ্যাসের পর্যাপ্ত চাপও পাচ্ছিল না। এ পরিস্থিতেতে একটি ভালো মানের কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে বাধ্য হয়।