বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় মুদি দোকানির ঘরে টিনের চালের ওপর উড়ে এসে পড়া শকুনটি সুস্থ করার জন্য সেবা করা হচ্ছে। শনিবার দুপুরে শকুনটি চালের ওপর এসে পড়ে বলে মুদি দোকানি মো. সোলায়মান জানিয়েছেন। তিনি বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাড়িয়াল গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় মুন্সীর হাটে তাঁর একটি মুদি দোকান রয়েছে।
সোলায়মান জানান, শনিবার দুপুর ২টার দিকে তাঁর ঘরের চালের ওপর বিশাল সাইজের একটি শকুন এসে পড়ে। তাঁর স্ত্রী ভয় পেয়ে তাঁকে জানালে তিনি দ্রুত বাড়ি চলে আসেন। এক পর্যায়ে শকুনটি নিচে পড়ে যায়। কাছে গেলে ঠোকর দেয়নি। তখন শকুনটিকে পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে রেখে বন বিভাগকে অবহিত করা হয়। বন বিভাগ শকুনটিকে পানি ও মুরগি খেতে দেওয়ার পরামর্শ দেয়। শনিবার থেকে প্রতিদিন একটি করে মুরগি ও পানি খেতে দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, মুরগি কেনার টাকা বন বিভাগ থেকে দেওয়া হয়েছে। বন বিভাগের কর্মকর্তা এসে শকুনটি দেখে গেছেন। তিনি জানিয়েছেন, শকুনটি সুস্থ আছে। কিন্তু এখনো উড়ে যাওয়ার মতো সুস্থ হয়নি। আরও কয়েক দিন সেবা ও পরিচর্যা করার পরামর্শ দিয়েছেন। পরে তাঁরা এসে নিয়ে যাবেন। বরিশাল সদর বন কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান সাকিব বলেন, ‘শকুনটি হিমালয় গৃধিনী প্রজাতির। বতর্মানে এ অঞ্চলে কোনো শকুন নেই। শকুনটি দলছুট হয়ে এসে পড়েছে। সুস্থ হলে ছেড়ে দেওয়া হবে। শকুনটির ওজন ১০ কেজির মতো। এত বড় সাইজের শকুন আরেক জায়গায় স্থানান্তর করতে ঝামেলা হবে। শকুনটিকে নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। তাই নিজেদের হেফাজতে নেওয়া হয়নি। যার কাছে রয়েছে, তাঁকে খাবার খরচ দেওয়া হবে।’