রাজশাহী আঞ্চলিক শিক্ষা অফিসের ভিতরেই এক শিক্ষক আরেক শিক্ষককে চড় মেরেছেন। বুধবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষক জয়নাল আবেদিন নগরীর বোয়ালিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালীর আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। ৫ আগস্টের পর থেকে জয়নাল আবেদিন কলেজে অনুপস্থিত। আর অভিযুক্ত সিরাজুল হক কলেজের ভূগোল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তিনি জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি এখন কলেজের ‘স্বঘোষিত’ অধ্যক্ষ। তিনি নিজেকে অধ্যক্ষ দাবি করলেও কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাঁকে এ দায়িত্ব দেননি। এখন জয়নাল আবেদিন ও সিরাজুল হক দুজনই নিজেদের অধ্যক্ষ দাবি করছেন। লিখিত অভিযোগে জয়নাল আবেদিন নিজেকে অধ্যক্ষ হিসেবেই পরিচয় দিয়েছেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার (মাউশি) রাজশাহী আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যালয়ের চতুর্থ তলায় কর্মচারীদের কক্ষে অবস্থান করছিলেন। তখন সহকারী অধ্যাপক সিরাজুল হক তাঁকে চড়থাপ্পড় মারেন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। তাঁকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয়। জয়নাল আবেদিনকে চড়থাপ্পড় মারার বিষয়ে সিরাজুল হক প্রথমে দাবি করেন, বুধবার তিনি শিক্ষা ভবনেই যাননি।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থাকার কথা জানালে তিনি বলেন, ‘তাহলে আমাকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন না করলেই খুশি হব। আমি মিথ্যা কথা বলতে পারব না।’
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ বলেন, ‘জয়নাল আবেদিন অভিযোগ করতে আসবেন, এটা জানতাম। পরে অভিযোগ দিয়ে গেছেন কি না জানি না। অভিযোগ দিয়ে গেলে অবশ্যই তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’