যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য ও শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনায় মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা প্রতিদিনই বৈঠক করছেন। বৈঠক শেষে সে অনুসারে চিকিৎসা দিচ্ছেন। লন্ডনে অবস্থানরত তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ কথা জনিয়েছেন।
জানা গেছে, মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকে লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসক ছাড়াও জন হপকিন্স ও বাংলাদেশ থেকে যাওয়া চিকিৎসক এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ছিলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত নাজিমউদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কারাগারে থাকাকালে তাঁর কোনো চিকিৎসাই হয়নি। বরং তখন চিকিৎসার নামে তৎকালীন সরকারের পক্ষ থেকে কোনো স্লো-পয়জনিং হয়েছে কি না, যে কারণে তাঁর তেমন কোনো কারণ ছাড়াই লিভার সিরোসিসের মতো একটা দুরারোগ্য ব্যাধির সৃষ্টি হয়েছে। এসব নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা চলছে। এগুলো চিহ্নিত করার পরই তাঁর মূল চিকিৎসা শুরু হবে। খালেদা জিয়া গত ৮ জানুয়ারি দ্য লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হন। অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডির তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে। লন্ডন যাওয়ার পরই হার্ট, কিডনি, আর্থ্রাইটিস, লিভার ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
চিকিৎসকরা জানান, মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা পর্যালোচনা করেছে। এর ভিত্তিতে বিএনপির চেয়ারপারসনের চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় লন্ডন ক্লিনিকের সামনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে সাংবাদিকরা খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চান। জবাবে তিনি তার মায়ের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।