রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার এলাকায় এক কিশোরীর গলায় দেশি অস্ত্র ঠেকিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল। তারা হলেন- মুস্তাকিম, সুমন, ঝটন ও রবিন। গত সোমবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি সামুরাই, একটি দেশি বড় ছুরি, ৩ হাজার ৩৪০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সেনাবাহিনীর ৪৬ পদাতিক ব্রিগেডের এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আমরা গোয়েন্দা তথ্যে জানতে পারি, একটি চক্র এক কিশোরীকে ধর্ষণ করার পর দেশি অস্ত্র নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলা না করার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। চক্রটি ছিনতাই, ডাকাতি ও ইভ টিজিংসহ নানা অপরাধে জড়িত। পরবর্তীতে মোহাম্মদপুরে অবস্থিত সোহরাওয়ার্দী সেনা ক্যাম্পের একটি টহল দল দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই অপরাধীকে দেশি অস্ত্রসহ ভুক্তভোগী পরিবারকে হুমকি দেওয়ার সময় আটক করে। পরে অভিযানে অন্য দুজনকেও আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তারদের মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে, ভুক্তভোগী কিশোরীর বড় বোন বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেছেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় কিশোর গ্যাং গ্রুপের কয়েকজন সদস্য ভুক্তভোগী কিশোরীকে রায়েরবাজার সাদেক খান রোডের ৬৩/৩ নম্বর বাসার আন্ডারগ্রাউন্ডে ধরে নিয়ে যায়। সেখানে কিশোর গ্যাং সদস্যরা মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে ওই কিশোরীসহ তার পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ওই কিশোরী ভয়ে কিছু না বললেও বাসায় এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হলে তারা কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের খুলে বলে।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিশোর গ্যাং সদস্যদের জিজ্ঞেস করলে তারা মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে দেশি ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে থাকে। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় সোমবার রাতেই মামলা হয়েছে এবং চারজনকেই ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।