দিনাজপুরের বিরল সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ। তারা হলেন- ওই এলাকার ইসরাইল ইসলামের ছেলে এনামুল ইসলাম (৫০) ও এনামুল ইসলামের ছেলে মাসুম (১৫)। এর প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক দুই ভারতীয়কে আটক করেছে গ্রামবাসী।
গতকাল দুপুরের দিকে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ধর্মপুর ইউপির ধর্মজৈন সীমান্তের ৩২০ মেইন পিলারের সাব পিলার ১০-এর কাছে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ধর্মপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর ইসলাম ও বিরল থানার উপপরিদর্শক কাওসার। বিজিবির বিরলের ধর্মজৈন বিওপির নায়েব সুবেদার রেজাউল করিম এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গতকাল বিকাল ৫টায় পতাকা বৈঠকের আহ্বান করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিরলের ধর্মপুর ইউনিয়নের ধর্মজৈন সীমান্তে ধান ও মাড়াইয়ের কাজ করছিলেন মাসুম ও এনামুল নামের দুই কৃষক। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএসএফর সদস্যরা তাদের ধরে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর দুই ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশ সীমানার ভিতর থেকে আটক করে গ্রামবাসী। পরে বিজিবি সদস্যরা সেখানে গেলে তাদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি কৃষক আহত : ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কৃষক আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে পিপুলবাড়িয়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। আহত রিয়াজ (২০) বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং তিনি উপজেলার পিপুলবাড়িয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে।
আহত রিয়াজের চাচাতো ভাই মো. সুমন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে হালকা বৃষ্টিতে মাঠে পানি জমে যায়। পানি নিষ্কাশনের জন্য রিয়াজ জমিতে যান। জমিটি আন্তর্জাতিক সীমানার কাছাকাছি। তিনি জমিতে কাজ করার সময় ওপার থেকে ভারতীয় কুসুমপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা গুলি চালায়। একপর্যায়ে একটি গুলি তার শরীরে বিদ্ধ হয়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ইমন হোসেন জানান, আহত রিয়াজের শরীর থেকে ছররা গুলির কিছু অংশ বের করা হয়েছে। তবে একটি গুলি কিডনির পাশ দিয়ে ঢুকে গেছে। যশোরে প্রয়োজনীয় সুবিধা না থাকায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
আহত রিয়াজের স্বজনরা জানান, গতকাল ভোরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। এ ব্যাপারে মহেশপুর ৫৮বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম জানান, এমন কোনো ঘটনার খবর আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।