তিন দিন পার হলেও খুলনার দৌলতপুরে যুবদল নেতা মাহাবুব মোল্লা হত্যায় ‘কিলিং মিশনে’ অংশ নেওয়া কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে হত্যাকাণ্ডের সময় কাছাকাছি অবস্থানে থাকা দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে খুনিদের সঙ্গে মাহাবুবের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য প্রদান-সংক্রান্ত অভিযোগ রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
এদিকে ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরের একটি সিসিটিভির ফুটেজের ভিডিও ক্লিপ থেকে মোটরসাইকেলে থাকা তিনজনের একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। পুলিশ বলছে, হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হওয়ার সময় এবং ওই তিনজনের মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময়টি বিবেচনায় নিয়ে তাদের সন্দেহ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এটি রাজনৈতিক হত্যাকা কি না এনিয়েও নানা আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে। সব মিলিয়ে বিভ্রান্তিমূলক নানা তথ্যে তদন্ত কাজ ব্যাহত হচ্ছে। দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর আতাহার আলী বলেন, প্রাথমিক তদন্তে এটিকে কোনো রাজনৈতিক হত্যাকা বলে মনে হচ্ছে না। তার পরও আমরা সন্দেহ উড়িয়ে দিচ্ছি না। চরমপন্থিদের সংশ্লিষ্টতাও ভেবে দেখা হচ্ছে।
জানা যায়, হত্যাকান্ডের পর শনিবার রাতে সজল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রিমান্ডে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রবিবার রাতে আলাউদ্দিন নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যাকান্ডের সময় সজল ও আলাউদ্দিন একই স্থানে অবস্থান করছিল।
এদিকে তিন দিন পার হলেও পুলিশ খুনিদের গ্রেপ্তার করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বিএনপি নেতারা। মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা বলেন, পুলিশ মূল আসামিদের গ্রেপ্তার না করে কালক্ষেপণ ও নানা গল্প সাজিয়ে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুপুরে দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশায় নিজ বাড়ির সামনে খুন হন মাহবুব। তিনজন মোটরসাইকেল আরোহী ঘটনাস্থলে এসে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মাহবুব মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার পায়ের রগ কেটে হত্যা নিশ্চিত করা হয়।