আগামীতে জামায়াত ক্ষমতায় গেলে বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ভাঙাচোরা শিক্ষাব্যবস্থা মেরামত করা হবে, ডিগ্রি নয় যোগ্যতার ভিত্তিতে কর্ম নিশ্চিত করা হবে। গতকাল রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ ভবনে ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (এফডিইবি) বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ন্যায়বিচার ও সুশাসনের ওপর জোর দিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা ক্ষমতায় এলে দাবি আদায়ে কাউকে এক মিনিটের জন্যও কর্মস্থল ফেলে রাস্তায় আসতে হবে না। ইনসাফের ভিত্তিতে যার যেটা পাওনা সেটা তার হাতে তুলে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, যে শিক্ষা মানুষকে অনৈতিক করে, দুর্নীতিগ্রস্ত করে, ইতর প্রাণীতে পরিণত করে সেই শিক্ষা দেব না। যে শিক্ষা মানুষকে মানুষ বানায়, প্রত্যেকটা মানুষকে সম্মান দিতে শেখায়, মর্যাদা দিতে শেখায় আমরা সেই শিক্ষাটা দেব। এই শিক্ষার সঙ্গে নৈতিক ও বৈষয়িক শিক্ষার সম্মিলনে ছেলে বা মেয়ে তার যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পাবে।
কেউ বেকার থাকবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনো যুবক-যুবতী কাজের বাইরে থাকবে না। কাজ যেটাই হোক সে কাজে থাকবে। হয় উদ্যোক্তা নয়তো চাকরিজীবী। যারাই সমাজে উজাড় করে দেবে তারাই সম্মানিত হবে। তাদের দেখে সবাই উদ্যোগী ও উদ্যমী হবে। তৃতীয় অঙ্গীকার হিসেবে তিনি দুর্নীতিকে প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দেশে দুর্নীতির জোয়ার থামিয়ে দেওয়া হবে। এতে অনেকের অস্বস্তি তৈরি হবে, তবে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য দুর্নীতি দমন জরুরি। একই সঙ্গে প্রতিটি সেবার গুরুত্ব ও গভীরতার ভিত্তিতে বেতন কাঠামো নির্ধারণের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। আল্লাহর দেওয়া হাত দিয়ে আমরা কারও হক নষ্ট করব না, কারও সম্পদের ওপর অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ করব না। সূর্য তো একটাই, কিন্তু সে তো শুধু দুনিয়া নয়, প্রত্যেকটা উপগ্রহকে আলোকিত করে রাখে। আমাদের একেকটা সূর্য হয়ে আলো ছড়াতে হবে, দেশকে আলোকিত করতে হবে।
পুলিশের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, পুলিশের ২৪ ঘণ্টা ডিউটি। কখন ডাক পড়ে ঠিক নেই। অস্ত্র হাতে থাকলেও তাকে ঝুঁকি নিয়েই দায়িত্ব পালন করতে হয়। কারণ প্রতিপক্ষের কাছেও অস্ত্র আছে। কিন্তু তাকে যদি ফকিরের ভিক্ষার মতো বেতন দেওয়া হয়, সে ঝুঁকি নেবে কেন? যে কারণে সমাজের আজকের এ অবস্থা। তাকে তার কাজ অনুযায়ী পারিশ্রমিক বা বেতন দেওয়া উচিত।