রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ২০তম জাতীয় ফার্নিচার মেলা শুরু হয়েছে। ‘আমার দেশ, আমার আশা- দেশীয় ফার্নিচারে সাজাব বাসা’ স্লোগানে এ মেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতি। গতকাল শুরু হওয়া পাঁচ দিনের এ মেলা আইসিসিবির গুলনকশা, পুষ্পগুচ্ছ ও রাজদর্শন হলে চলবে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত। আইসিসিবির রাজদর্শন হলে মেলার উদ্বোধন করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ এবং বাংলাদেশ ফার্নিচার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. কে এম আকতারুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতির চেয়ারম্যান সেলিম এইচ রহমান। বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, সরকার যখন দায়িত্ব গ্রহণ করে তখন দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র এক থেকে দেড় মাসের আমদানির সমতুল্য। বর্তমানে রিজার্ভ প্রায় ৩২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। সঙ্গত কারণে অর্থনীতিতে সংকোচনমূলক সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। মেলা নিয়ে তিনি বলেন, ফার্নিচারে আমাদের উদ্ভাবনী কম। এক্ষেত্রে ভিয়েতনাম আমাদের তুলনায় এগিয়ে। ফার্নিচারে উদ্ভাবনের কোনো বিকল্প নেই। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ বলেন, রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ এবং রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণের কোনো বিকল্প নেই। রপ্তানি সম্ভাবনার অধিকাংশজুড়ে এখনো পোশাক খাত রয়েছে। সরকার এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রপ্তানিকে বৈচিত্র্যপূর্ণ করার চেষ্টা করছে। এরই অংশ হিসেবে সরকার ২০২৫ সালে ফার্নিচারকে ‘প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা করেছে। নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা না করে আমাদের বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা বাড়াতে হবে। সরকার পোশাক খাতের বাইরে আরও সাতটি খাতকে বন্ডেড ওয়্যারহাউসের সুযোগ দিয়েছে। এর মধ্যে ১ নম্বরে রয়েছে ফার্নিচার। আয়োজকরা জানান, এবারের মেলার মূল লক্ষ্য হলো দেশি ফার্নিচার শিল্পের বিকাশ ঘটানোর পাশাপাশি রপ্তানি বাজার আরও সম্প্রসারণ করা। এবারের মেলায় মোট ৪৮টি শীর্ষস্থানীয় ফার্নিচার কোম্পানি অংশ নিয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা সর্বাধুনিক নকশা ও পণ্যের প্রদর্শনী করবে ২৭৮টি স্টলে। অংশগ্রহণকারী উল্লেখযোগ্য ব্র্যান্ডের মধ্যে রয়েছে আখতার, হাতিল, ব্রাদার্স, নাদিয়া, আয়ত, ওমেগা, জেএমজি, নাভানা, অ্যাথেনাস, পারটেক্স, রিগাল ও লেগাসি। গতকাল উদ্বোধনী দিনে শিশুদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২০ জন শিশুকে পুরস্কৃত করা হয়। মেলায় বিভিন্ন ফার্নিচার কোম্পানি বিভিন্ন ছাড় দিচ্ছে। হাতিল ফার্নিচারের জুনিয়র অফিসার আরিফা ইসলাম বলেন, মেলায় সব ফার্নিচার অর্ডার করতে পারবেন ক্রেতারা। আমরা নিত্যনতুন পণ্য নিয়ে কাজ করছি। মেলা উপলক্ষে সব ধরনের পণ্যে ৫ শতাংশ ছাড় রয়েছে।
ব্রাদার্স ফার্নিচারের স্টল ইনচার্জ মহীউদ্দীন রিপন বলেন, আমরা বাসা এবং অফিস ফার্নিচার সলিউশন নিয়ে কাজ করছি। মেলা উপলক্ষে আমাদের এখানে ৫ থেকে ১৫ শতাংশ ছাড় রয়েছে।