কাজ করে দেওয়ার কথা বলে পাকা কলা ঘুষ হিসেবে নেওয়ার অভিযোগে যশোর জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেনকে বদলির আদেশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যশোর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত গণশুনানি চলাকালে রুস্তম আলী নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেন দুদক কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলী আকবার আজিজী। জেলা প্রশাসন ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির
সহযোগিতায় দুদক যশোর আয়োজিত গণশুনানি সকাল ১০টায় শুরু হয়ে বিকাল ৪টায় শেষ হয়।
গণশুনানিতে অভিযোগকারী রুস্তম আলী দাবি করেন, যশোর জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেন একটি কাজ করে দেওয়ার জন্য পাকা কলা ও নগদ ১০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন। এরপরও কাজ করে না দিয়ে আরও ৬ লাখ টাকা দাবি করেন। কিন্তু তা না দেওয়ায় তার নামের জমির ডিসিআর অন্যকে দিয়ে দেওয়া হয়।
শুনানিতে আলমগীর হোসেন কলা খাওয়ার কথা স্বীকার করায় তাকে অন্যত্র বদলি করার জন্য জেলা পরিষদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘দুর্নীতি শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠানে নয়, সমাজের প্রতিটি স্তরে ছড়িয়ে পড়েছে। দুদক চায়, জনগণের সহযোগিতায় আমরা যেন প্রকৃত দুর্নীতিবাজদের আইনের মুখোমুখি করতে পারি।’ গণশুনানিতে বিশেষ অতিথি দুদক কমিশনার মিয়া আলী আকবর আজিজী বলেন, ‘দুদকের কাজ ভয় দেখানো নয়, বরং দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনগণকে সঙ্গে নেওয়া। এই গণশুনানি সেই প্রক্রিয়ারই অংশ।’
দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গণশুনানিতে উত্থাপিত সব অভিযোগ লিখিতভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেসব অভিযোগের সত্যতা মিলবে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুদকের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গণশুনানিতে যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহানসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আয়োজকরা জানান, যশোর জেলার সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ৩৭ দপ্তরের বিরুদ্ধে ওঠা ৭৫টি অভিযোগের বিষয়ে শুনানি গ্রহণ করা হয়।