ইসলামি বক্তা ও সংসদ সদস্য প্রার্থী আমির হামজাকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের বড়িয়া জামে মসজিদে রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে নিষেধ করায় বিএনপির এক নেতার ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, আসরের নামাজ শেষে শনিবার বিকালে মসজিদে বক্তৃতার সময় কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মুফতি আমির হামজাকে
রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় শাজাহান আলী হান্নান নামে স্থানীয় এক বিএনপি নেতাকে লাঞ্ছিত করা হয়। ৩ মিনিট ২৯ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, মুফতি আমির হামজা বক্তৃতা করছিলেন। হঠাৎ শাজাহান আলী হান্নান দাঁড়িয়ে আমির হামজাকে কিছু বলার অনুমতি চান। এ সময় হান্নানকে বলতে শোনা যায়, ‘হুজুর ধার্মিক আলোচনা যত পারেন করেন, রাজনৈতিক কোনো আলোচনা করবেন না।’ তার এ বক্তব্যের পর মসজিদের মুসল্লিরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তারা হান্নানের দিকে তেড়ে যান এবং তাকে ধাক্কা দিতে দিতে মসজিদ থেকে বের করে দেন। তবে এ সময় মুসল্লিদের কয়েকজনকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতেও দেখা যায়। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনার পাশাপাশি চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বড়িয়া জামে মসজিদের সভাপতি বিএনপি নেতা শাজাহান আলী হান্নান বলেন, ‘আমি মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি। মুফতি আমির হামজা মসজিদে আসবেন সেটাও আগে থেকে আমাকে কেউ জানায়নি। আসরের নামাজ শেষে আমির হামজা বক্তৃতা দিতে শুরু করেন। সভাপতি হিসেবে আমি শুধু রাজনৈতিক আলোচনা বাদ দিয়ে ইসলামিক আলোচনা করতে বলেছিলাম। এতেই মসজিদের ভিতরে থাকা লোকজন আমার দিকে তেড়ে আসেন। ধাক্কা দেন। হান্নানের দাবি, স্থানীয় কয়েকজন বাদে মসজিদের ভিতর যারা ছিলেন তারা সবাই অপরিচিত। জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মী এরা। এ ঘটনার পর আমির হামজা আমার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
বিষয়টি জেলা বিএনপির সদস্যসচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকারকে জানিয়েছি।
ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. আনিসুর রহমান বলেন, মসজিদে ইসলামিক আলোচনা হওয়ার কথা। সেখানে কোনো রাজনৈতিক আলোচনা হতে পারে না।
এ বিষয়ে মুফতি আমির হামজা জানান, আমাকে বক্তব্য দিতে বারণ করায় মুসল্লিরা ক্ষেপে গেলে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি তৈরি হয়। আমি সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে তার কাছে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছি এবং হাতে হাত মিলিয়ে সেখান থেকে বিদায় নিয়ে এসেছি।
কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সুজাউদ্দিন জোয়ার্দারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমির হামজা পরিস্থিতি সামলে নিয়ে ওই বিএনপি নেতার সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে বিষয়টি সমাধান করে নিয়েছেন। বিষয়টি ওখানেই নিষ্পত্তি হয়ে গেছে।