কর্মক্ষেত্রে আমরা সকলেই মানসিক চাপ বোধ করি। আবার কাজের ক্ষেত্রে কেউ যদি মানসিক অশান্তিতে থাকে তাহলে তার প্রভাব পড়ে বাড়িতেও। এটা তার শরীর ও মন দুইয়েরই ক্ষতি করে।
'আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়াশনে'র গবেষণায় দেখা গেছে নির্দিষ্ট কয়েকটি কারণে মানুষ চাকুরির ক্ষেত্রে মানসিক চাপ অনুভব করে, নিজেকে অসুখী ভাবে। যেমন-কম বেতন, অতিরিক্ত কাজের চাপ, মনের মতো কাজ না পাওয়া, সামাজিক নিরাপত্তার অভাব, কাজ সম্পর্কিত যেকোন সিদ্ধান্ত না নেয়ার ক্ষমতা, চাহিদা আর পাওয়ার মধ্যে পার্থক্য ইত্যাদি।
'আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়াশনে'র গবেষকরা কাজের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মানসিক চাপ কমানোর কিছু পরামর্শ দিয়েছেন । চলুন জেনে নেই সেই উপায়গুলো সম্পর্কে।
১. ভারমুক্ত থাকতে শিখুন
মেডিটেশন যে কাউকে ভারমুক্ত থাকতে সাহায্য করে। কাজের ক্ষেত্রে খুব বেশি চাপ বোধ করলে মাঝেমধ্যে বড় করে নিশ্বাস নিন, ধীরে ধীরে ছাড়ুন। এটা আপনাকে অনেকটা আরাম দেবে।
২. বসের সঙ্গে কথা বলুন
আপনি কি ধরনের সমস্যা অনুভব করছেন, সেটা বসের সঙ্গে আলোচনা করুন। যে ভাল কাজ জানে তার জন্য বসদের আলাদা একটা অনুভূতি থাকে। তারাও চেষ্টা করে ভাল কর্মীকে ধরে রাখতে। সুতরাং বসকে জানালে তিনি হয়তো আপনার সমস্যা বুঝে আপনাকে চাপমুক্ত হতে সাহায্য করবে।
৩. শরীর সুস্থ রাখুন
যেকোন ধরনের মানসিক চাপ নিতে হলে আগে শরীর সুস্থ রাখতে হবে। এসময় অ্যালকোহল, ধূমপান কিংবা ফাষ্ট ফুড খাবার খেয়ে শরীর আরো খারাপ করা ঠিক নয়। চাপ কমানোর জন্য ব্যয়াম খুবই উপকারী। এক্ষেত্রে যোগব্যায়াম খুব ভাল কাজ দেয়। সেটা না করতে পারলেও সমস্যা নেই। কারণ যেকোন ধরনের ব্যায়ামই মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
৪. অন্যদের সাহায্য নিন
আপনার সমস্যার কথা কাছের বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের জানান। খোলাখুলি আলোচনা করুন। এতে আপনার মানসিক চাপ অনেকটা কমে আসবে।
৫. স্বাস্থ্যকর খাবার খান
অফিস চলাকালীন সময়টাতে সুষম খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে শরীর ফিট থাকবে।
৬. নিজের ডেস্কে ব্যায়াম
একটানা ডেস্কে বসে কাজ করলে এমনিতেই শরীর খারাপ লাগে। একারণে কিছুক্ষন পর পর বিরতি দিন। একটু উঠে দাঁড়ান, পা টান করুন। কোমরও ঘুরিয়ে নিন। খুব বেশি খারাপ লাগলে অফিসের করিডরে কিংবা বাইরে কয়েক মিনিটের জন্য হেঁটে আসুন।
৭. না বলতে শিখুন
যে কাজ জানে, তার উপরই সব কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়। আপনি কতটা চাপ নিতে পারবেন , সেটা আগে বুঝুন। অতিরিক্ত কাজ চাপানো হলে আপনার শরীর ও মনের উপর কতটা প্রভাব ফেলবে সেটা বুঝে বস কিংবা সহকর্মীদের না বলতে শিখুন। তাদের সঙ্গে আলোচনা করুন।
সূত্র : হাডল,প্যারেড
বিডি-প্রতিদিন/ ২৩ নভেম্বর, ২০১৭/ ওয়াসিফ