১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১২:২৯

পাকস্থলীর ক্ষত সারায় মধু

অনলাইন ডেস্ক

পাকস্থলীর ক্ষত সারায় মধু

ফাইল ছবি

রোগ নিরাময়ের জন্য মধু কখনো এককভাবে, আবার কখনো ভেষজ দ্রব্যের সঙ্গে মিশ্রিত করে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় সফলতার সাথে ব্যবহার হয়ে আসছে। জার্মান হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ড. ই কচ বলেছেন, ‘উপযুক্ত ঘাস খেয়ে ঘোড়া যেমন তেজী হয় তেমনি নিয়মিত সকালে এক চা-চামচ করে খাঁটি মধু খেলে হৃদপিন্ড শক্তিশালী হয়। এছাড়াও মধু আয়ুও বৃদ্ধি করে।’

মধুতে রয়েছে গ্লুকোজ, মন্টোজ, খনিজ লবণ ও অ্যামাইনো এসিড থেকে শুরু করে চর্বি এমনকি প্রোটিন; যা আপনার শরীরে শক্তি জোগাতে সহায়তা করে। এছাড়া মধু ওজন কমাতে সহায়তা করার পাশাপাশি ব্যথা নিরাময়ে কিংবা হজম শক্তি বাড়াতেও বেশ কার্যকর।

শরীরের বাইরের কোন অংশের ক্ষততে মধুর প্রলেপ লাগালে অনেক সময় মলমের চেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। পানিতে অল্প মধু মিশিয়ে খেলে পাকস্থলীর ক্ষত সারে। এতে ব্যাকটেরিয়ারোধী পদার্থ আছে যা স্বাভাবিকভাবেই পেটের আলসারের বৃদ্ধি মন্দীভূত করে। মধু পাকস্থলীর প্রদাহ হ্রাস করার জন্য উত্তম উপাদান। এছাড়াও মধু অন্যান্য রোগ রোধ করতে সাহায্য করে। সকালে এক টেবিল চামচ কাঁচা মধু খেয়ে নিন।

যারা খুব মোটা হচ্ছেন তাদের মেদ কমানোর জন্য মধুর সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে খেলে সুফল পাওয়া যায়। দুর্বল শিশুকে এক ফোঁটা মধু দুধের সঙ্গে মিশিয়ে দিনে দুইবার খাওয়ালে তার স্বাস্থ্য ভালো হয় ও শক্তি লাভ করে। মৌরির পানিতে মধু মিশিয়ে পান করলে দূষিত বায়ু পেট থেকে বেরিয়ে যায়।

এক কাপ দুধে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে রোজ সকালে খেলে শক্তি বৃদ্ধি পায়। মধুর সঙ্গে গুড়ের রস মিশিয়ে খেলে বমি বন্ধ হয়ে যায়। শিশুদের দৈহিক গড়ন, রুচি বৃদ্ধি, ওজন বৃদ্ধি ও পেট ভালো রাখার জন্য প্রত্যহ এক চা চামচ মধু গরম দুধ ও গরম পানির সঙ্গে নাশতা ও রাতের খাবারের সঙ্গে দিতে হবে। আমাশয় ও পাতলা পায়খানা থাকলে গরম পানিতে আড়াই চা-চামচ মধু মিলিয়ে শরবত বানিয়ে বারবার সেবন করতে হবে।

উল্লেখ্য, মৌমাছিরা ফুলে ফুলে বিচরণ করে ফুলের রেণু ও মিষ্টি রস সংগ্রহ করে পাকস্থলীতে রাখে। সেখানে মৌমাছির মুখ নিঃসৃত লালা মিশ্রিত হয়ে রাসায়নিক জটিল বিক্রিয়ায় মধু তৈরি হয়। এরপর মুখ থেকে মৌচাকের প্রকোষ্ঠে জমা করা হয়।


বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর