নিজেকে আরেকটু সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে মেকআপ করেই যাচ্ছেন, মন তবু ভরছে না। ভাবছেন, কপালটা বেশি বড়। কিংবা, নাকটা আরেকটু খাড়া হলে কী হতো? ইশ্, চোয়াল তো বোঝাই যাচ্ছে না। এমন সব অস্বস্তি মেটাতেই কনট্যুরিংয়ের জন্ম। এটি মেকআপের বিশেষ একটি কৌশল, যা চেহারাকে একটি আদর্শ কাঠামোতে নিয়ে আসে।
কনট্যুরিং কী : মুখশ্রীর আদল বদলে দিতে মেকআপের সময় কনট্যুরিং করা হয়। এক কথায়, এটি মুখে সুন্দর শেপ আনার অন্যতম এক কৌশল। যার মাধ্যমে নাক, চিবুক ও মুখের ফোলাভাব কমানো হয়। কনট্যুরিং মানেই গাল কেটে চিকন করা, নাক কেটে সরু করা, থুতনি কেটে চোয়াল বের করা। এমন সব প্রচলিত শব্দ মানেই কনট্যুরিং। সাধারণত গোলাকার বা ডিম্বাকৃতির চেহারাকে মেকআপের আদর্শ বলে মানা হয়। কিন্তু সবার চেহারা তো এক রকম নয়। কারও চেহারা চৌকো, কারও তিন কোনা, মানে কপাল চওড়া কিন্তু চিবুক খুব সরু। কারও চেহারা পানপাতার মতো, কারও গোল। এমন চেহারা বদলে মানানসই আকৃতিতে রূপান্তর করার জাদুই হলো কনট্যুরিং।
কীভাবে কনট্যুর করবেন : প্রথমে নিজের চেহারার আকৃতি বুঝতে হবে। যেমন আপনার চেহারা চৌকো হলে কপালের ওপরের অংশ, গালের দুই পাশ আর মাঝ বরাবর কনট্যুর করাই যথেষ্ট। চেহারা পানপাতার মতো হলে কপালের দুই পাশ, গালের প্রায় অর্ধেক আর চিবুকটা দুই পাশে কনট্যুর করতে হবে। গোল চেহারার জন্য গালের দুই পাশে কোনাকেও কনট্যুর করতে হবে। চিবুক, কপাল ও চোখের নিচে হাইলাইটার ব্যবহার করুন। কনট্যুরিং করার জন্য বেস শেডের চেয়ে দুটি ডার্ক শেড দিয়ে কনট্যুরিং করতে হয়। অনেকেই কনট্যুরিং-এ সর্বদা খয়েরি শেড ব্যবহার করে থাকেন। তবে এ কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, এটা সবার জন্য নয়।
কত ধরনের কনট্যুর : এটা ক্রিম ও পাউডার; দুই ফর্মেই পাওয়া যায়। দুটির যে কোনো একটা দিয়েও কনট্যুর করা যায়। আবার দুটির কম্বিনেশনে কাজ করা যায়। সাধারণ মেকআপের জন্য পাউডার কনট্যুর যথেষ্ট। কিন্তু ভারী মেকআপে প্রাইমারের পর ক্রিম কনট্যুর করবেন, তারপর তা ফাউন্ডেশনের সঙ্গে খুব ভালোভাবে মিশিয়ে (ব্লেন্ড) নেবেন। সব শেষে আবার পাউডার দিয়ে কনট্যুর করে নিন। বোঝা যায় এমন ধাপে নিয়ে আসতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ