পান্তা ভাত শুধু পহেলা বৈশাখের খাবার নয় বরং সারা বছর এটি খাওয়া যায়। গবেষণায় প্রমাণিত, গরম ভাতের চেয়ে পান্তা অনেক বেশি পুষ্টিকর। বিশেষ করে গরমকালে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে এর জুড়ি নেই।
দশ-বারো ঘণ্টা ধরে সারা রাত রেখে দেওয়ার ফলে পানি ও ভাতের মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া হয়। এসময় পানির নিচে থাকা ভাত বাতাসের অর্থাৎ অক্সিজেনের সংস্পর্শে আসতে পারে না।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, পানির কারণে ভাতের এই ফারমেন্টেশন বা গাজন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। এর ফলে পান্তা ভাতের পুষ্টিগুণ বেড়ে যায়। এই গরমে পান্তা ভাত খেলে যেসব উপকারিকতা মেলে-
১. ফার্মেন্টেশনের ফলে পান্তা ভাতে ভিটামিন বি১২-এর মাত্রা বেড়ে যায়। এই পুষ্টি শরীরের ক্লান্তি ভাব কমাতে এবং দুর্বলতা কাটাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে অনিদ্রার সমস্যা দূর করে।
২. পান্তা ভাতে ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রনের মতো পুষ্টি রয়েছে। এ কারণে দিনে অন্তত একবেলা পান্তা ভাত খেলেও দেহে পুষ্টির ঘাটতি দূর হবে। এছাড়া এই খাবারে থাকা প্রোবায়োটিক অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
৩. দেহের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে পান্তা ভাত। গরমে গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা দূরে থাকবে এই খাবার খেলে। নিয়মিত পান্তা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও কমে যাবে।
৪. যারা উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, টাইপ- টু ডায়াবেটিসের মতো রোগে ভুগছেন তারাও পান্তা ভাত খেতে পারেন। পান্তা খেলে রোগে আক্রান্ত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। পাতা ভাতে থাকা প্রবায়োটিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৫. পান্তা ভাত শরীরকে ঠান্ডা করে। এই খাবারে যেহেতু তরলের পরিমাণ বেশি থাকে, তাই শরীরকে হাইড্রেটেডও রাখে পান্তা ভাত।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ