চট্টগ্রামের প্রয়াত সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রী হাসিনা মহিউদ্দিনকে সম্মেলন মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেয়ার বিষয়টি জানতেন না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সম্মেলন শেষ হওয়ার পরই আমি এ ঘটনা জানতে পেরেছি। তিনি মঞ্চে বসতে চাইলে অবশ্যই তাকে আমি অ্যালাও করতাম।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সড়ক ভবনে একটা প্রোগ্রাম ছিল, সেখান থেকে আমি প্রতিনিধি সম্মেলনে যখন যোগ দিয়েছি আনুমানিক সাড়ে ১২টা। ওখানে কোনো কমোশন (গোলমাল) আমি দেখিনি এবং এ ধরনের কোনো ঘটনা কেউ আমাকে জানায়নি। আমি ঢাকার পথে যখন চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে যাই, তখন ওই বিষয়টা একজন আমাকে জানালো। কিন্তু ওখানে কেউ এ বিষয়ে আমাকে কিছু বলেনি এবং কোনো অভিযোগও কোনো পক্ষ থেকে আসেনি।
তিনি বলেন, এ ঘটনা জানার পরে বর্তমান মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দীন তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। মেয়র তাকে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কোন কোন নেতা মঞ্চে বসবেন সে ক্যাটাগরি ভাগ করা ছিল, সেখানে মহিউদ্দীনের স্ত্রীর নাম ছিল না।
শুদ্ধি অভিযান নিয়ে বলেন, অপরাধীদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেয়ায় দল কিংবা সরকারে কোনো ধরনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে না বরং উজ্জল হবে। দলের যেসব নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তা প্রমাণ হলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
এমপিদের বিরুদ্ধে অভিযোগে ফলে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে কি না আমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি মনে করি না ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ায় সরকারের সৎ সাহস প্রমাণ হচ্ছে। সরকার অপরাধীদের শাস্তি দিচ্ছে সেটি বড় বিষয়।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত
