২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২১:১৭

কক্সবাজারে রেল চালু হলে পর্যটকসহ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে: রেলমন্ত্রী

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

কক্সবাজারে রেল চালু হলে পর্যটকসহ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে: রেলমন্ত্রী

মো. নুরুল ইসলাম সুজন

রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন চালুর অপেক্ষায় রয়েছেন দেশবাসী। আগামী বছরে ১৬ ডিসেম্বর দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেললাইন চালু করা হবে। ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত এটির নির্ধারিত মেয়াদ ধরা আছে। করোনাকালীন কাজ করতে সমস্যা এবং নির্দিষ্ট সময়ে সরকারি কিছু স্থাপনার জমি পেতে সমস্যার কারণে কাজ বিলম্বিত হয়। সবমিলে ৬ মাস পিছিয়ে আগামী বছরের ডিসেম্বরে উদ্বোধনের জন্য একটি সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন।

কক্সবাজারে সুন্দর ও আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম-ঢাকার সঙ্গে কক্সবাজারের রেললাইন চালু হলে বিদেশিসহ বিভিন্ন পর্যটকদের ব্যাপকহারে আগমন ঘটবে। এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে। আইকনিক স্টেশনের বিভিন্ন সুবিধায় রয়েছে যাত্রীরা এসে থাকতে পারবে, মালামাল রাখার জন্য ব্যবস্থা রাখা আছে। 

তিনি বলেন, এটি ট্রান্স এশিয়ান রেললাইনের একটি অংশ। ভবিষ্যতে মিয়ানমার অংশ হয়ে গুনদুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ করা হবে। চকরিয়া থেকে মাতারবাড়ি পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মিত হবে। কক্সবাজারে বহুমুখী উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান আছে এবং এখানকার অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হচ্ছে। তাছাড়া প্রকল্প কেন্দ্রীক কিছুটা সমস্যা থাকলেও স্ব স্ব এলাকায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সব কিছু এখন নিষ্পত্তি হচ্ছে।

রেলমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত একটি আত্মনির্ভরশীল দেশ গড়ার লক্ষ্যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন। সকল সেক্টরেই উন্নয়ন হচ্ছে। ২০৪১  সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সারাদেশে অনেক মেগা প্রকল্প চলমান রয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ দশটি মেগা প্রকল্পের মধ্যে একটি।

এর আগে শুক্রবার সকালে কক্সবাজার থেকে চকরিয়ায় আসার পথে কক্সবাজার রেলপথ পরির্দশন করেছেন রেলমন্ত্রী এবং আগের দিন দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে মিয়ানমারের নিকট গুনদুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্রাক নির্মাণ প্রকল্প ও কক্সবাজারে অবস্থিত আইকনিক রেল স্টেশন ভবনের অগ্রগতি পরির্দশন করেন তিনি।

জানা গেছে, এই প্রকল্পের সার্বিক নির্মাণ অগ্রগতি ৬২%। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কক্সবাজারকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনাসহ পর্যটকরা সাশ্রয়ী আরামদায়ক ও নিরাপদ ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। এছাড়া সহজে ও কম খরচে মাছ, লবণ, রাবারের কাঁচামাল এবং বনজ ও কৃষিজ দ্রব্যাদি পরিবহন করা সম্ভব হবে।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর