সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নূরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, প্রতিবন্ধী স্কুল প্রতিষ্ঠার নামে প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছে একটি চক্র। ইতোমধ্যে প্রতিটি উপজেলায় ১৫ থেকে ২০টি প্রতিবন্ধী স্কুল প্রতিষ্ঠা হয়েছে। অথচ মন্ত্রণালয় থেকে এখনো স্কুল অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ২০তম অধিবেশনে আজকের বৈঠকে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আরো জানান, প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা ও সেবার বিষয়ে বর্তমান সরকার আন্তরিক। তবে প্রতিবন্ধী স্কুলের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে তাঁর নির্দেশনা অনুযায়ী এ বিষয়ে প্রযোজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ঢাকা শহরে ভিক্ষুকদের আনাগোনা কেন: সরকারি দলের সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ সমাজকল্যাণমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর নানা কর্মসূচি থাকা সত্ত্বেও ঢাকা শহরে কেন ভিক্ষুকদের আনাগোনা? তিনি আরো বলেন, সরকারের তিন টার্ম কন্টিনিউয়াস। এর আগে ১৯৯৬ সালেও আমরা ক্ষমতায় ছিলাম। আমরা বয়স্কভাতা, নির্যাতিত ভাতাসহ অনেক রকম ভাতা দিয়ে যাচ্ছি। যাদের বাড়িঘর নেই, তাদের বাড়িঘর দিয়েছি। অথচ আজকেও আসার সময় রাস্তায় ১০ জন ফকির (ভিখারী) ভিক্ষা চাচ্ছে। কিন্তু এটা কেন হবে? আমরা সামাজিক বেষ্টনির মধ্যে সব কিছু নিয়ে আসছি। আশ্রয়ণ প্রকল্প করছি। সব রকম সাহায্য দিচ্ছি। তাহলে আমাদের রাস্তার ওপরে ভিক্ষুক থাকার তো কথা নয়, থাকা উচিতও নয়। এদের জন্য কী কী পদদক্ষেপ গ্রহণ করবেন?
জবাবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা শহরে ভিক্ষুকদের উৎপাতের বিষয়ে আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। এটা নিরসন করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। অল্প দিনের মধ্যে তারা যাতে ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরে ভিক্ষাবৃত্তি না করতে পারে, তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পুনর্বাসন করার ব্যবস্থা করতে যাচ্ছি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল