আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি বলেছেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে সাংবাদিকদের আপত্তি থাকা ধারায় আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। চারটি বিষয় বাদে বাকিগুলো বিনা পরোয়ানায় কাউকে গ্রেফতারেরও সুযোগ নেই। কিন্তু এই অ্যাক্ট নিয়ে অপব্যাখা দেওয়া হচ্ছে।
শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে মাত্র চারটি আমলযোগ্য ধারা আছে। আর সবগুলি নন-কগনিজিবল অফেন্স। আমলযোগ্য অপরাধ ছাড়া বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করার অধিকার বা সুযোগ কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নেই। সেজন্য আমি বলব, এ বিষয়ে যেসব প্রশ্ন উত্থাপন করা হচ্ছে এগুলো সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপব্যাখ্যা মাত্র।
ধারায় সাজার বিধান নিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে টেকনিক্যাল অপরাধ, হ্যাকিং এবং কম্পিউটারের ভেতরে ঢুকে যদি কেউ কোনো কিছু নষ্ট করে সেজন্য ১৪ বছরের সাজার বিধান রয়েছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে যেসব ধারাগুলো নিয়ে সাংবাদিক মহলের আপত্তি ছিল, সেগুলোর আমূল পরিবর্তন করা হয়েছে। বিনা পরোয়ানায় যে গ্রেফতারের কথা বলা হচ্ছে-সেটার কিন্তু শর্ত আছে। একটা হচ্ছে এটা আমলযোগ্য অপরাধ হতে হবে।
সকাল সাড়ে ১১টায় দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আয়োজিত বর্ধিত জনসভায় আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারকে নির্মম ভাবে হত্যার পর স্বাধীনতার চাকা উল্টো দিকে ঘুরানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। জিয়াউর রহমান খুনি রাজাকারদের নিয়ে সরকার গঠন করেছিলেন। বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। বঙ্গবন্ধুকে যারা খুন করেছিল তাদেরকে জিয়াউর রহমান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকুরি দিয়ে রাষ্ট্রদূত বানিয়েছিলেন। জিয়া হত্যার পর এরশাদও ঠিক তাই করার চেষ্টা করেছিল। এরশাদ ক্ষমতায় আসার পর এই খুনিদেরকে ফ্রীডম পার্টি করতে দিয়ে রাষ্ট্রপতির নির্বাচন যাতে বৈধ হয় সেজন্য তাদেরকে প্রার্থী হতে অনুমতি দিয়েছিল।
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপি জামায়াত আবারো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা কোনদিন সামনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসেনি। সবসময় পিছনের দরজা দিয়ে আসছে। ভোট চুরি করেছে। মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি।
এ বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে আবারও জয়ী করতে শেখ হাসিনার পক্ষে নৌকা মার্কায় পক্ষে ভোট চান তিনি।
দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ মজনু মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কাসেম ভূঁইয়া, পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল, দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দীন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল