বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য আবারও নতুন করে দরপত্র আহ্বান করতে যাচ্ছে সরকার। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল করিম খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, এখন নতুন করে দরপত্র আহ্বানের জন্য প্রস্তুতি চলছে। আগের দরপত্রে সাড়া পাওয়া না যাওয়ায় পেট্রোবাংলার গঠিত একটি কমিটি আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর কাছে তারা কেন দরপত্র জমা দেননি এর জবাব জানতে চেয়েছে। এ জন্য উৎপাদন বণ্টন চুক্তি (পিএসসি) সংশোধনের কাজ শেষের দিকে। এটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে আমরা পুনরায় দরপত্র আহ্বান করব। পেট্রোবাংলার দায়িত্বশীল সূত্র জানান, পুনরায় দরপত্র আহ্বানের আগে দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি কমিটি এর আগে কেন আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলো দরপত্রে সাড়া দেয়নি তা নির্ণয় করবে। এ বিষয়ে কমিটি এখন কাজ করছে। সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করার জন্য পুনরায় দরপত্র আহ্বান করার আগে বেশ কিছু ধাপ আছে। সেগুলো শেষ হলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়সহ বেশ কিছু জায়গায় কমিটির তৈরি করা প্রতিবেদন পাঠানো হবে। এরপর এ বিষয়ে ভেটিং হবে। এটি চূড়ান্ত হলে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হবে। ছয় সদস্যের কমিটিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, পেট্রোবাংলা ও বাপেক্সের প্রতিনিধিরা আছেন। পেট্রোবাংলার পরিচালক (প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট) প্রকৌশলী মো. শোয়েব গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সর্বশেষ টেন্ডার আহ্বানের পর যে আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলো আগ্রহী ছিল তারা কেন শেষ পর্যন্ত দরপত্র জমা দেয়নি তার সম্ভাব্য কারণ নির্ণয়ে এই কমিটি কাজ করছে। বর্তমানে দরপত্র জমা না দেওয়ার কারণগুলো বের করার চেষ্টা চলছে। এই কারণ বের করার পর আমাদের পরবর্তী টেন্ডারটি আরও কতটা প্রতিযোগিতামূলক করা যায় সে চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোকে এ বিষয়ে আগ্রহী করার জন্যও চেষ্টা চলছে। আমরা আশা করছি চলতি বছরের মধ্যেই দরপত্র পুনরায় আহ্বান করতে পারব। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলেন, বঙ্গোপসাগরে এখনো জ্বালানি অনুসন্ধানের সুযোগ আছে। এক্ষেত্রে পেট্রোবাংলা বিদেশি জ্বালানি অনুসন্ধানকারী সংস্থাগুলোর সাহায্য নিয়ে দেশের গ্যাস অনুসন্ধানে নতুন একটি কোম্পানি গঠন করতে পারে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, সাধারণত আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর একটা পরিকল্পনা থাকে তারা বিশ্বের কখন ও কোথায় কাজ করতে যাবে। আবার কোনো একটি দেশ অস্থিতিশীল থাকলে সেখানে কোনো তেল-গ্যাস কোম্পানি কখনো আসতে চায় না। ধারণা করছি সর্বশেষ ডাকা দরপত্রে এই কোম্পানিগুলোর অংশ না নেওয়ার পেছনে এগুলো সম্ভাব্য কারণ হতে পারে। এর আগে ২০২৪ সালের ১০ মার্চ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বঙ্গোপসাগরে জ্বালানি অনুসন্ধানে দরপত্রের আহ্বান করা হয়। এতে ৫৫টি আন্তর্জাতিক কোম্পানিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেই বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দরপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্ধারিত হলেও এটি পরে আরও তিন মাস বৃদ্ধি করে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, চীন ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশের বেশ কয়েকটি কোম্পানি সমুদ্রে বহুমাত্রিক জরিপের তথ্য কিনলেও তারা শেষ পর্যন্ত কেউ দরপত্রে অংশ নেয়নি।
শিরোনাম
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৬ জুলাই)
- বদলে যাচ্ছে কারাগার
- বাংলাদেশের কাছে হেরে পাকিস্তান দলে ফিরলেন বাবর-রিজওয়ান
- ফের আন্দোলনে নামছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
- একদিনে তিন গ্রেটকে ছাড়িয়ে রুট, সামনে শুধু টেন্ডুলকার
- বন্দরের দক্ষতা বাড়াতে আন্তর্জাতিক অপারেটর দরকার: নৌ পরিবহন উপদেষ্টা
- মুজিববাদের রাজনীতি বাংলাদেশে চলবে না: নাহিদ ইসলাম
- সরকার একটি দলকে পৃষ্ঠপোষকতার মধ্য দিয়ে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে : নুর
- বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে জয়দেবপুর রেলস্টেশনে খাবার বিতরণ
- চট্টগ্রামে ত্রিমুখী সংঘর্ষে তিনজনের মৃত্যু
- রূপগঞ্জে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে এসে পুকুরে ডুবে যুবকের মৃত্যু
- সুনামগঞ্জে মাদকবিরোধী মানববন্ধন ও সমাবেশ
- ‘চাঁদাবাজি-সালিশবাজি বিএনপির রাজনৈতিক আদর্শ নয়’
- রসিককে লাল কার্ড, সড়কে ধানের চারা রোপণ করে প্রতিবাদ
- ছিনতাইয়ের ঘটনায় ভুক্তভোগীর সঙ্গে অসদাচরণ, পুলিশের দুঃখ প্রকাশ
- 'প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে সবাইকে বৃক্ষরোপণে এগিয়ে আসতে হবে'
- কক্সবাজারে ৭ মাসে পানিতে ডুবে প্রাণ গেছে ৬০ জনের
- মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩
- নবীনগরে কৃষকদলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন
- সাড়ে চার বছরে মোদির বিদেশ সফরে খরচ ৩৬২ কোটি রুপি
সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান
আবারও দরপত্র আহ্বানের প্রস্তুতি
সর্বশেষ ডাকা দরপত্রে আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর সাড়া না দেওয়ার কারণ নির্ণয়ে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন
জিন্নাতুন নূর
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর