ভগ্নদশায় টিকে আছে সিলেটের বিশ্বনাথের দেওয়ান হাছন রাজার পৈতৃক জমিদারবাড়ি। অযত্ন-অবহেলায় নিশ্চিহ্নের পথে রামপাশা গ্রামে তাঁর স্মৃতিচিহ্ন। বিভিন্ন সময় বাড়িটি রক্ষার দাবি উঠলেও উদ্যোগ নিচ্ছে না কেউ। ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, হাছন রাজার বাবা দেওয়ান আলী রাজা চৌধুরী ছিলেন রামপাশার প্রভাবশালী জমিদার। তাঁর আওতায় বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশার ও সুনামগঞ্জের লক্ষণশ্রীর জমিদারি ছিল। বাবার পরে লক্ষণশ্রীর জমিদারি দেখাশোনা করতেন হাছন রাজা আর রামপাশার জমিদারি দেখাশোনা করতেন তাঁর বড়ভাই উবাইদুর রাজা চৌধুরী। ৩৯ বছর বয়সে বড় ভাই মারা গেলে মাত্র ১৫ বছর বয়সে দুই জমিদারির দায়িত্ব পড়ে তাঁর ওপর।
সরেজমিন দেখা যায়, বাড়িটিতে ধ্বংসাবশেষ ছাড়া অবশিষ্ট তেমন কিছুই নেই। পরিত্যক্ত বাড়িটি গিলে খাচ্ছে লতাগুল্মে। কোনোরকমে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় ৩০০ বছরের পুরোনো একটি দ্বিতলবিশিষ্ট ও একটি ছাদবিহীন পাকা ঘর। দুটি ঘরই দরজা-জানালাবিহীন। আছে পুরোনো একটি বিশাল দিঘি। বাড়ির সামনেই রয়েছে পারিবারিক কবরস্থান। বছরজুড়েই বাড়িটি দেখতে আসেন হাছন অনুরাগী, কবি-গবেষক, সাহিত্যিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। কিন্তু বাড়িটির করুণ দশা দেখে হতাশ হয়েই ফিরে যান তাঁরা।
স্থানীয়রা জানান, কখনোই হাছন রাজার স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। হাছন রাজার বাড়িটি সংরক্ষণে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
বিশ্বনাথের ইউএনও সুনন্দা রায় বলেন, ‘জেলা প্রশাসক বিশ্বনাথের দর্শনীয় স্থানের ব্যাপারে জানতে চাইলে হাছন রাজার বাড়ির নাম প্রস্তাব আকারে পাঠিয়েছিলাম। বাড়ি নিয়ে উত্তরাধিকারদের মধ্যে জটিলতা ও অনাগ্রহ থাকায় সরকারিভাবে সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না।’