নেত্রকোনার খালিয়াজুরীর ধনু নদীতে স্পিডবোট ডুবে চারজন নিখোঁজের প্রায় ৪০ ঘণ্টা পর ভেসে ওঠা তিন শিশুসহ এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা। গতকাল সকাল পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার গাজিপুর ইউনিয়নের পাঁচহাট গ্রামের ধনু নদীর পাড়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাছে লায়লা (৭) ও শিরিন আক্তারের (২০) লাশ ভেসে উঠলে স্বজন ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে। এরপর বেলা ২টায় পাঁচহাট গ্রামের সামনে ভেসে ওঠে মাসুম মিয়ার মেয়ে সামিয়ার (১১) লাশ। পরে ডুবুরি ও স্থানীয়রা দেখে তা উদ্ধার করে। এর আগে শনিবার দুপুরে ঊষা মণির (৭) লাশ ভেসে উঠলে তা উদ্ধার করা হয়। তবে ডুবে যাওয়া স্পিডবোটটির সন্ধান মেলেনি। প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয়, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকালে খালিয়াজুরী উপজেলার গাজিপুর ইউনিয়নের পাঁচহাট আন্ধার গ্রামের রানা মিয়ার বরযাত্রী নিয়ে বউ আনতে যাওয়ার কথা ছিল কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার মিরকা গ্রামে। এর আগে বিয়ের অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে পানি কাটতে ১২ জন নারী ও শিশু নিয়ে স্পিডবোটে গেলে নদীতে অবৈধ ভিমজালে মাছ ধরার কোশা নৌকার সঙ্গে সংঘর্ষ লাগে। এতে কোশা নৌকায় থাকা ছাত্তার ও তার ছেলে জহিরুল ক্ষিপ্ত হয়ে স্পিডবোটে উঠে বোটচালককে মারধর করে। এ সময় দুই পক্ষের ধস্তাধস্তিতে বোটটি ডুবে যায়।
এ সময় আটজন সাঁতরে অন্য নৌকায় উঠে প্রাণে রক্ষা পেলেও চারজন নিখোঁজ থাকে।