টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উত্তাল হয়ে উঠেছে তিস্তা নদী। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নদীর পানি দ্রুত বাড়তে থাকে এবং দুপুর ৩টা নাগাদ তা বিপৎসীমার মাত্র ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত মাত্র ৯ ঘণ্টায় তিস্তার পানি ১৩ সেন্টিমিটার বেড়েছে। পানি বৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত থাকলে নদীর পানি যেকোনো সময় বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইস গেট খুলে দেওয়া হয়েছে এবং সার্বক্ষণিক নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি আরও বাড়তে পারে। এতে লালমনিরহাট ছাড়াও রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও গাইবান্ধার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
এর আগে গত আগস্ট মাসে তিন দফা বন্যায় চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন তিস্তাপাড়ের কৃষকরা। তলিয়ে যায় তাদের বোনা আমন ধান। পরে অনেকেই নতুন করে আমন চারা রোপণ করেন। তবে আবারও পানি বাড়তে থাকায় সেই ফসল হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন কৃষক পরিবারগুলো।
তিস্তা ব্যারাজ কন্ট্রোল রুমের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, “আজ দুপুর ৩টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ফলে নদীতীরবর্তী জনগণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।”
পাউবো লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী শুণীল কুমার বলেন, “বৃষ্টি ও উজানের পানির কারণে তিস্তার পানি দ্রুত বাড়ছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। আমরা নদীপাড়ের মানুষকে সতর্ক থাকতে বলছি এবং সার্বক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।”
তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় আবারও উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের মধ্যে বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/মুসা