উজানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের ফলে রংপুর বিভাগের নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। তিন দিন উজানের ভারী বর্ষণের পূর্বাভাসে নদী তীরবর্তী এলাকায় বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নদীর তীরবর্তী মানুষের জানমাল ও কৃষি রক্ষায় সতর্ক করা হয়েছে।
বন্যার পূর্বাভাস জানিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি আবহাওয়া তথ্য ইউনিট সতর্কতা জারি করেছে। তিস্তা নদীবেষ্টিত লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কায় সেখানকার পরিপক্ক সবজি দ্রুত সংগ্রহ করা, জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করা এবং জলাবদ্ধতা পরিহারের জন্য জমির চারপাশে নিষ্কাশন নালা তৈরি করা, আমন ধানের জমির নিষ্কাশন নালা পরিষ্কার রাখা, আমন ধানের জমির আইল উঁচু করা, সেচ, সার ও বালাইনাশক প্রয়োগ বন্ধ রাখা, কলা ও দণ্ডায়মান সবজির জন্য খুঁটির ব্যবস্থা করা, আখের ঝাড় বেঁধে দেয়া, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি থাকার জায়গা পরিষ্কার ও শুকনো রাখা, পুকুরের চারপাশে উঁচু করে দেয়া, অতিরিক্ত পানিতে মাছ রক্ষায় চারপাশে জাল বা বাঁশের চাটাই দিয়ে ঘিরে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, রবিবার উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে রবিবার বিকেল ৩টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার ও কাউনিয়া পয়েন্টে ৩৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা পর্যন্ত রংপুর বিভাগে এবং এর উজান ভারতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের শঙ্কা রয়েছে। এতে করে রংপুর বিভাগের তিস্তা, দুধকুমার, ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। সেই সাথে নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চল, চর, দ্বীপ চর প্লাবিত হতে পারে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আগামী ৩ দিন তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাবে। এ তথ্য নদীর তীরবর্তী এলাকায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই