গাজার অবরুদ্ধ অঞ্চলে আকাশপথে ত্রাণ পাঠাতে যাচ্ছে জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। ইসরায়েল এই দুই দেশকে শিগগিরই এ অনুমতি দেবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।
ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আজই জর্ডান থেকে বিমানযোগে গাজায় ত্রাণ ফেলা হতে পারে। এর আগেও ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র, জর্ডান, মিশর ও ফ্রান্স যৌথভাবে আকাশপথে গাজায় কয়েক হাজার ত্রাণ প্যাকেট পাঠিয়েছিল। তবে সে সময় এসব প্যাকেটের কিছু জনবহুল এলাকায় পড়ে ৫ জন গাজাবাসীর মৃত্যু ঘটে। ছোট প্যারাস্যুটে করে খোলা জায়গা লক্ষ্য করে এসব ত্রাণ পাঠানো হলেও, বাতাসের কারণে তা সঠিক স্থানে না পড়ে দুর্ঘটনা ঘটেছিল।
এদিকে, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ ও মানবিক সংকট লাঘবে কাতার ও মিশর যৌথভাবে মধ্যস্থতা চালিয়ে যাচ্ছে। এক যৌথ বিবৃতিতে দেশ দুটি জানিয়েছে, চলমান আলোচনার সর্বশেষ ধাপে কিছু অগ্রগতি হয়েছে। তিন সপ্তাহের আলোচনার পর এখন পরামর্শের জন্য কিছুটা বিরতি নেওয়া হয়েছে, যা জটিল আলোচনা প্রক্রিয়ার স্বাভাবিক অংশ।
তবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে যে ধরনের তথ্য ফাঁস হয়েছে, তা বাস্তবতা প্রতিফলিত করে না বলে দাবি করেছে কাতার ও মিশর। তারা জানিয়েছে, এসব ভুয়া তথ্য মূলত মধ্যস্থতাকারী পক্ষগুলোর প্রচেষ্টা দুর্বল করতে এবং আলোচনার গতিপথ প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে ছড়ানো হয়েছে।
দুই দেশ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, এ ধরনের ভুল তথ্য যেন যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টা ব্যাহত না করে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল