ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে হত্যা পরিকল্পনার অভিযোগে ৭৩ বছর বয়সী এক মরণাপন্ন বৃদ্ধাকে আটক করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানায় দেশটির প্রসিকিউশন বিভাগ।
তেলআবিবের বাসিন্দা ওই নারী একজন পরিচিত সরকারবিরোধী কর্মী। ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি বর্তমান সরকারকে ‘ইসরায়েলের জন্য হুমকি’ মনে করে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করে জীবন উৎসর্গের সিদ্ধান্ত নেন বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে।
প্রসিকিউশন বিভাগ জানায়, অভিযুক্ত নারী এক সহকর্মীকে পরিকল্পনার কথা জানান এবং তাকে একটি রকেট-চালিত গ্রেনেড কেনায় সহায়তা করতে বলেন। একইসঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর গতিবিধি, কর্মসূচি ও নিরাপত্তাব্যবস্থার তথ্য সংগ্রহেও ওই ব্যক্তির সাহায্য চান।
তবে অভিযোগে বলা হয়, ওই ব্যক্তি নারীর পরিকল্পনায় সাড়া না দিয়ে তাকে বুঝানোর চেষ্টা করেন। পরে ব্যর্থ হয়ে তিনি পুলিশের কাছে বিষয়টি জানান। এর পরপরই ওই নারী গ্রেফতার হয়।
প্রসিকিউশন আদালতের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে, বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে গৃহবন্দি রাখা হোক। কারণ, তার আগ্রাসী মানসিকতা এবং ‘শহীদ হতে প্রস্তুত’ থাকার বক্তব্য এখনও হুমকি হিসেবে বিবেচিত।
উল্লেখ্য, এর আগেও নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে হত্যার হুমকির ঘটনা ঘটেছে। গত বছর এক ইসরায়েলি নাগরিক সামাজিক মাধ্যমে এমন হুমকি দিয়ে গ্রেপ্তার হন।
ইসরায়েলে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বিরল হলেও ইতিহাসে এর নজির আছে। ১৯৯৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইৎজাক রবিনকে ওসলো শান্তি চুক্তি সমর্থনের জন্য এক চরমপন্থী ইহুদি হত্যা করেছিলেন।
সূত্র: খালিজ টাইমস
বিডি প্রতিদিন/আশিক