ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু বলেছেন, ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আমি তাদের স্যালুট জানাই। এই নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলব। কেউ যেন কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে। যে চাঁদাবাজি-বিশৃঙ্খলা করবে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার নাগরিকদের স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে ধারাবাহিক কর্মসূচির আওতায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মার্কেট, ঢাকা স্টেডিয়াম, মাওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়াম এলাকায় বসবাসরত সব শ্রেণির নাগরিক ও ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন মজনু।
মজনু তার বক্তব্যে বলেন, এদেশের হিন্দু ভাইদের আমি সংখ্যালঘু বলতে চাই না। তারাও আমাদেরই মতো আরেকজন। আমার ভাই, আমার বোন, আমার চাচা, তাদেরকেও রক্ষা করতে হবে। কেউ হিন্দুদের বাসাবাড়ি, মন্দির, দোকানপাটে আক্রমণ করবেন না। তাহলে আমাদের সাথে আওয়ামী লীগের কোনো পার্থক্য থাকবে না।
তিনি বলেন, যারা মানুষের ওপর অত্যাচার করবে, চাঁদাবাজি করবে, তাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধরবে। কেউ রেহাই পাবেন না। তারা যদি দলের কেউ হয়, দলও তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর আওয়ামী লীগের কিছু দুষ্কৃতকারী নিজেদের রক্ষা করতে ‘নব্য’ বিএনপি হতে চেষ্টা করছে। তাদের দুর্নীতি, অনাচার, লুটপাট আর মানুষের ওপর অত্যাচারকে আড়াল করতে তারা এ কৌশল নিয়েছেন। এ বিষয়ে বিএনপির সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে সতর্ক থাকতে হবে। সাবধানে থাকতে হবে। আওয়ামী লীগের কোনো পর্যায়ের নেতাকর্মী যাতে দলের মধ্যে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন অর রশীদ, এস কে সিকান্দার কাদির, সাবেক সদস্য আব্বাস, কাউন্সিল নাসরিন জাহান পুতুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিন, শ্রমিকদলের সদস্য সচিব বদরুল আলম সবুজসহ শাহাবাগ থানা, পল্টন থানা ও ওয়ার্ড বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত