অবিলম্বে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার শুরু করার দাবি জানিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, ইতিহাসের নিকৃষ্টতম স্বৈরাচারের বিচার না হলে শত শত শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানী এবং ছাত্র-জনতার সাথে প্রতারণা করা হবে।
শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা সদরে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রিন্স।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, গণ বিপ্লবে পতনের পর ভারতে পালিয়ে সেখান থেকে শেখ হাসিনা জনগণের বিজয় নস্যাৎ করতে ষড়যন্ত্র করছেন। ভারত সরকারের হেফাজতে থেকে তিনি কীভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন, বাংলাদেশের জনগণের তা জানার অধিকার আছে।
তিনি বলেন, হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ও নানা ষড়যন্ত্র করছে। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে জয় ভারতকে বাংলাদেশে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিতে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতার পরিচয় দিয়েছেন।
জনগণের বিজয় নস্যাৎ করে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় বসানোর আবদার না শুনে হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
প্রিন্স বলেন, অবশ্যই শেখ হাসিনাকে গণহত্যা, দুর্নীতি, লুটপাট, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার হরণ, গুম ও খুনের দায়ে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
তিনি বলেন, জনগণের বিজয় ছিনিয়ে নিতে শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয় ও তাদের দোসররা ষড়যন্ত্র করছে। প্রতি বিপ্লব ঘটানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু জনগণ সব চক্রান্তের বেড়াজাল ছিন্ন করে গণতন্ত্রের পথে অভিযাত্রা অব্যাহত রাখতে বদ্ধ পরিকর। ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্টকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের চক্রান্ত সফল হতে দেয়া হবে না।
তিনি আওয়ামী লীগের সব সাবেক মন্ত্রী, এমপিসহ দায়ী নেতাদের গ্রেফতার করার দাবি জানিয়ে বলেন, তারা সকলেই গণহত্যা-দুর্নীতি করেছে। এখন গণতন্ত্রের পথে অভিযাত্রা নস্যাৎ করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এদের বাইরে রাখলে দেশ অস্থিতিশীল করবে।
তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকা আওয়ামী প্রেতাত্মাদেরকে অপসারণ করতে হবে। হিন্দু সম্প্রদায়ের জনগণকে নিয়েও হাসিনা ষড়যন্ত্র করছে। ভারতে বসে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার কল্পিত কাহিনী প্রচার করে তাদেরকে ষড়যন্ত্রের হাতিয়ার বানাতে চাচ্ছে।
সকলকে সার্বিক পরিস্থিতির ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র করলে আওয়ামী লীগের নাম নিশানা মুছে ফেলা হবে। তিনি বলেন ইতোমধ্যেই জনগণের মধ্য থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি উঠতে শুরু করেছে। নিহত শত শত ছাত্র-যুবককের রক্ত না শুকাতেই হত্যাকারীদের আস্ফালন জনগণ সহ্য করবে না।
ধোবাউড়া উপজেলা সদরের সোনালী ব্যাংক চত্বরে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম কাজলের সভাপতিত্বে আনিসুর রহমান মানিকের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য মফিজ উদ্দিন, মোয়াজ্জেম হোসেন খান লিটন, ফরহাদ রাব্বানী সুমন, চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির, টোটন তালুকদার, সাবেক চেয়ারম্যান গাজিউর রহমান ও মমতাজ উদ্দিন প্রমুখ ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত