কুষ্টিয়ায় আরও একটি হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফসহ ৭৫ জনকে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে হাসপাতাল কর্মচারী নিহত হওয়ার ঘটনায় এ মামলা করেন নিহত ইউসুফ শেখের মেয়ে মোছা. সীমা।
মাহবুবউল আলম হানিফের পাশাপাশি তার চাচাতো ভাই সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রবিউল ইসলাম, সহসভাপতি কুষ্টিয়া জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ নন্দী, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, কোষাধ্যক্ষ অজয় সুরেকা ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি তাইজাল আলী খানসহ ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহফুজুল হক চৌধুরী জানান, রবিবার (১৮ আগস্ট) দিবাগত গত রাত ১২টা ১০ মিনিটে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। মামলায় বলা হয়েছে- নিহত ইউসুফ শেখ কুষ্টিয়া শহরের চর থানাপাড়া এলাকার মৃত এদাত আলীর ছেলে। তিনি কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে চাকরি করতেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যে ৫ আগস্ট বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ইউসুফ শেখ কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে কুষ্টিয়া শহরের ফায়ার সার্ভিস অফিসের সামনের নূর টেইলার্স গলির ভেতরে পৌঁছালে এজাহারনামীয় আসামিরা তাকে দেখে ধাওয়া করেন। এরপর হানিফ ওতাঁর চাচাতো ভাই আতাউর রহমানের নির্দেশে আসামিরা তাকে গুলি করেন। অন্য আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এর আগে, কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আবদুল্লাহ নামের এক কিশোর নিহত হওয়ার ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে মাহবুবউল আলম হানিফকে প্রধান আসামি করে আরেকটি মামলা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ