ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় যন্ত্র এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গুলোর সব সেক্টরে এমনভাবে রাজনীতিকরণ ও দলীয়করণ করেছে যে দেশের আনাচে-কানাচে আওয়ামী স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা আর বাংলাদেশে কোনো স্বৈরাচার দেখতে চাই না, আমরা বাংলাদেশে সুস্থ ধারার রাজনীতি দেখতে চাই।
আমিনুল হক বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের মানুষ এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার যে স্বাদ সেটা অনুভব করতে পেরেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, স্বৈরাচার হাসিনার সরকারের পতনের পর আজকে মানুষ স্বাধীন ভাবে কথা বলতে পারছেন। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে লিখতে পারছে, আজকে বাংলাদেশের বিচার বিভাগকে স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু আমরা আর কোনো মানবাধিকার লুণ্ঠিত হউক সেই কাজ দেখতে চাই না। আমরা চাই বাংলাদেশের জনগণের যে প্রত্যাশা, যে স্বপ্ন, বাংলাদেশের মাটিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত হউক, বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হউক, সেই সরকার বাংলাদেশের জনগণের কথা মতো চলবে।
দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে আমিনুল হক বলেন, আওয়ামী লীগের কিছু যড়যন্ত্রকারী প্রেতাত্মারা আপনাদের অনেককে ঢাল বানিয়ে এখন নব্য বিএনপিতে তৈরি হয়েছে। আমি আপনাদেরকে বলতে চাই, যারাই এই ধরনের নব্য বিএনপিকে সুযোগ করে দিবেন, তাদের বাংলাদেশে বিএনপির রাজনীতি করার সুযোগ থাকবে না বা যোগ্যতা থাকবে না।
দলের পদধারী হয়েও বিগত আন্দোলন সংগ্রামে যারা মাঠে ছিলেন না, কিন্তু যারা আন্দোলন সংগ্রাম করেছে তাদের চেয়ে এখন তারাই বেশি একটিভ হয়ে গেছে মন্তব্য করে বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, কারা মাঠে কাজ করেছে, আর কারা মাঠে কাজ করে নাই, যারা মাঠে কাজ করেনি তারা এখন বেশি সিরিয়াস, আমরা এই বিষয়টি খেয়াল রাখছি।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর উত্তরখানে এক দোয়া মাহফিল পূর্ব আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আমিনুল হক।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নিহত উত্তরখান থানার ৪৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক জুবায়ের রহমানসহ শহীদ ছাত্র জনতার রুহের মাগফেরাত কামনায় এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন মহানগর উত্তর বিএনপির নেতা মহানগর সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, আখতার হোসেন, হাজী মোস্তফা জামান, শহীদ জুবায়ের পিতা সবুর বেপারী, মহানগর সাবেক সদস্য আহসান হাবিব মোল্লা, হাজী মো. ইউসুফ, আলাউদ্দিন সরকার টিপু, তহিরুল ইসলাম তুহিন, শাহ আলম, জাহাঙ্গীর মোল্লা, মোজাম্মেল হোসেনসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত