বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে হাতে হাত মিলিয়ে আমরা ইনসাফের বাংলাদেশ গড়ব। আপনাদের ছেলেরা একেকজন দ্বীনদার, সৎ, মেধাবী ও চরিত্রবান ছিলেন। আল্লাহ তায়ালা জীবন দেয়া-নেয়ার মালিক। এখানে চিরস্থায়ী থাকার সুযোগ নেই। তারা যে কাজে শহীদ হয়েছে আমরা দোয়া করি আল্লাহ যেন তাদের শহীদ হিসেবে কবুল করেন।’
বুধবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতদের পরিবার পরিজনকে সমবেদনা জানাতে চট্টগ্রামে এসে এসব কথা বলেন ডা. শফিকুর রহমান।
সমাবেশে জামায়াতের আমির বলেন, ‘চট্টগ্রামবাসীর প্রতি আল্লাহ রহম করুন। আসমান থেকে বরকতের দরজা খুলে দিন। জুলুম থেকে বাংলাদেশকে চির জীবনের জন্য মুক্ত করুন। মেহেরবানী করে আল্লাহর দ্বীনকে এ জমিনে কায়েম করে দিন। প্রয়োজনে আল্লাহর দ্বীনের জন্য আমাদেরকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন। যারা জীবন দিয়েছে তাদেরকে শহীদ হিসেবে কবুল করে নিন। বাংলাদেশের জমিনে জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা হাতে হাত মিলিয়ে ইনসাফের বাংলাদেশ গড়ব, ইনশাআল্লাহ।’
এর আগে সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়ে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এরপর সাড়ে ৯টায় তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের দেখতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে যান। তিনি তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। এ সময় চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্যেশ্যে বলেন, ‘অনেক রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিতে একটা পরিবর্তন হয়েছে। যারা নিহত হয়েছে তাদের শাহাদাত আল্লাহ কবুল করুন, আর যারা আহত হয়েছে তাদেরকে দ্রুত সুস্থ করে দিন। এখানে আহতদের মধ্যে যাদেরকে দেখেছি তাদের প্রত্যেকের মুখে আমরা হাসি দেখেছি, আন্দোলনের জন্য নিজেদের রক্ত দিতে পেরে তারা প্রত্যেকেই গর্বিত। অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার পর যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি সেখানে আর কখনো যেন স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা ফিরে না আসে।’
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর শাহজাহান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ ও মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমীন, অধ্যক্ষ খাইরুল বাশার, মুহাম্মদ উল্লাহ, এফ এম ইউনুছ ও মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি এস এম লুৎফর রহমানসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত