জ্বলন্ত সিগারেটকে অগ্নিসাক্ষী করে এবং গঙ্গাজল হিসাবে বিয়ার ব্যবহার করে শিলিগুড়ির এক কোচিং সেন্টারের মালিক পার্থ সেনগুপ্ত দিব্যি বিয়ে করে ফেলেছিলেন ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে বন্ধুত্বের জালে জড়িয়ে পড়া তরুণীকে। বিয়ের পর ঘরজামাই হয়ে সহবাসও করেছেন তরুণীর সঙ্গে। কিন্তু বছর না ঘুরতেই স্বামী কেমন যেন পাল্টে গেলেন। স্ত্রীকে ছেড়ে অন্য নারীর ওপর আকর্ষণ বাড়তে থাকায় ওই যুবতী গিয়ে অভিযোগ করলেন থানায়। অবশেষে ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগে প্রতারক স্বামীর জায়গা হলো জেলে।
রবিবার ভোরে পূর্ব যাদবপুর থেকে ওই কোচিং সেন্টারের মালিককে গ্রেফতার করেছে গড়ফা থানা। পার্থর বাড়ি শিলিগুড়িতে। ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটের বান্ধবীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আগে থেকেই অবশ্য বিবাহিত তিনি। তার ছেলে একটি ম্যানেজমেন্ট কলেজের ছাত্র।
পুলিশ সূত্রের খবর, শিলিগুড়িতে কোচিং সেন্টার থাকলেও পার্থবাবু নিজের শিক্ষাগতযোগ্যতা ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখিয়ে ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে বিজ্ঞাপন দেন। গড়ফার এক তরুণী সেই বিজ্ঞাপন দেখে আকৃষ্ট হয়ে যোগাযোগ করেন তার সঙ্গে। প্রথমে যোগাযোগ, পরে ঘনিষ্ঠতা। শেষমেষ বছরখানেক আগে বিয়ে। কিন্তু মাসখানেক আগে তরুণী বুঝতে পারেন, পুরোদস্তুর ঠগবাজের পাল্লায় পড়েছেন তিনি। এর আগে একই কায়দায় পার্থবাবু আরও প্রতারণা করেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।